সিলেটে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় পুলিশ সুপারের ব্রিফিং; ঘাতক হিফজুর আটক

সিলেটের গোয়াইনঘাটে মা ও ছেলে-মেয়েসহ তিনজন হত্যার ঘটনায় নিহত আলেমার স্বামী হিফজুরকে আটক করেছে সিলেট জেলা পুলিশ।

শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে আটকের কথা ঘোষণা করেন।

এসময় তিনি বলেন, হিফজুর এখন সুস্থ। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ তাকে রিলিজ দিতে চাইছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি নিহত আলেমার স্বামী হিফজুর রহমানই ঘটিয়েছে এমনটিই ধারণা করছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় হিফজুরের মোবাইল ফোনের কথাবার্তা ও স্থানীয় সূত্র এবং অন্যান্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রাথমিকভাবে হিফজুরকে এই ট্রিপল মার্ডারের একমাত্র আসামি হিসেবে আটক দেখানো হচ্ছে।

এসময় পুলিশ সুপার আরো জানান, হিফজুর একজন পান ব্যবসায়ী। প্রতিদিন সিএনজি নিয়ে পান বিক্রি করতে তিনি বের হন। কিন্তু ঐদিন ভোরে ড্রাইভারকে কল করে বলেন, আজ বাইরে যাবো না, আমার শরীর অসুস্থ আমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও।

আরো জানা যায়, মাঝে মধ্যে হিফজুরের মাথা গরম হয়ে যায়। জনশ্রুতি আছে, বছরে একবার তার মানসিক রোগ দেখা দেয়। মার্ডারের দিন ভোর ৫টায় তিনি কোন একজনকে বলেন ঘরে মাছ এসেছে, আমি মাছ কাটতেছি, তারপর বেরুবো। এছাড়া ১৮ জুন তার শ্যালিকার বিয়ে ছিলো। এই বিয়েতে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে সংসারে স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হতে পারে এমনটাই ধারণা পুলিশের।

পুলিশ সুপার আরো জানান, সাহেবের বাজার এলাকায় আতা মোল্লা নামে একজন বৈরাগী (ছন্নছড়া) মানুষ আছেন। কেউ কেউ তাকে পীর বলেন, হিফজুর অসুস্থ হলে ঐ আতা মোল্লার কাছে শরণাপন্ন হতেন। এমনকি বাচ্চারা অসুস্থ হলেও তিনি আতা মোল্লার কাছে যেতেন, ডাক্তারে যেতেন না।

উল্লেখ্য- গত বুধবার (১৬ জুন) ভোরবেলা উপজেলার বিন্নাকান্দি গ্রামে এই ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটেছে। এতে হিফজুরের স্ত্রী আলেমা (৩২), ছেলে মিজান(৮) ও মেয়ে আনিকা (৩) নিহত হন।

বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর