ফেক আইডি খুলে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল ত্ব-হার প্রথম স্ত্রীর কাছে

এক সপ্তাহেরও বেশি দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার (১৮ জুন) বিকালে সন্ধান পাওয়া যায় দেশের আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানের। আবু ত্ব-হার সন্ধান পাওয়ার পর একের পর এক নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে।

আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের প্রথম স্ত্রীর কাছে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এক দন্তচিকিৎসকের নাম ও ছবি ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। যার নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেই দন্তচিকিৎসকের নাম মেহেদি হাসান বলে জানা গেছে।

এঘটনায় সংবাদ দেখে শুক্রবার (১৮ জুন) থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগী দন্তচিকিৎসকে মেহেদি হাসান।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি লেখেন- Mehdi Hasan এই ফেক আইডি থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে যা আমার নিজস্ব আইডি নয়। বাসায় বসে ফেসবুক চালানোর সময় হঠাৎ দেখতে পাই আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ‘আবু ত্ব-হা আদনানের স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ চাওয়া মেহেদির অস্তিত্ব পায়নি পুলিশ’ লিখে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সংবাদটি ফেসবুক, অনলাইন ও ইউটিউবে প্রচার হয়।

 

ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান

গতকাল শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম হাফিজুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর নিজ নিজ জিম্মায় আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ও তার সঙ্গীদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ১০ জুন নিখোঁজের সময় ত্ব-হা রাজধানীর মিরপুরে অবস্থান করছিলেন। সর্বশেষ কথা হয়েছিল তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারার সঙ্গে। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সেখান থেকে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারে রংপুরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।

তার সফর সঙ্গী ছিলেন বগুড়া জেলার শিবগঞ্জের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফিরোজ আলম, গাড়িচালক রংপুর নগরীর উত্তর আশরতপুরের বাসিন্দা আমির হোসেন ফয়েজ ও রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীর কাফ্রিখাল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মুহিত।

ব্রিফিংয়ে পুলিশ আরো জানান, তারা শুরুতে ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় যান। এরপর সেখানে ত্রিমোহনী এলাকায় বন্ধু সিয়াম ইসলামের বাসায় ওঠেন ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা। সেখানেই এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন তারা। শুক্রবার সকালে গাইবান্ধা থেকে তারা তিনজন রংপুরে আসেন। এরপর রংপুরে আদনানের শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।

তবে আদনানের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার রহমান জানাচ্ছেন ভিন্ন তথ্য। তিনি বলছেন, শুক্রবার ভোরের দিকে ফজরের নামাজ শেষে বাসায় ফিরে আসেন আদনান। পরে তার স্ত্রীকে ফোন করে জানান, তিনি ফিরে এসেছেন। তবে কিভাবে ফিরেছেন এবং কোন জায়গা থেকে ফিরেছেন তা আপাতত তার স্ত্রীকে অনুরোধ করেন যেন কাউকে না বলে।

বার্তাবাজার/এফএইচপি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর