জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে। তবে খেলার মাঠের জায়গা ঠিক রেখেই উন্নয়ন কাজ করা হবে, এমন দাবি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের।

১৯৮৪ সালে, রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ শিক্ষার্থীদের খেলার কোন মাঠ না থাকায় ধূপখোলা মাঠটি তিনভাগে ভাগ করে একভাগ সরকারি জগন্নাথ কলেজকে ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি দেন। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য এই একটিই খেলার মাঠ। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে এলাকার শিশু কিশোররাই এই মাঠে বেশি খেলাধূলা করে।

কয়েকদিন আগে এই মাঠের কয়েকটি অংশে খুঁটি পুতে যান দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঠিকাদাররা। উদ্দেশ্য তিনটি মাঠের চারপাশ ঘিরে থাকা মাঠের দোকানগুলো একটি জায়গায় নিয়ে আসা। পাশাপাশি তিনটি মাঠই সংস্কার করা। কিন্তু এর কোন কিছুই জানানো হয়নি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা সেখানে গিয়ে দেখলাম যে ৩/৪টি পিলার বসানো হয়েছে। যারা সেখানে কাজ করছে তাদেরকে আমাদের সঙ্গে বসে আলোচনার কথা বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার কথা বলেছেন। আমরা আগামী সপ্তাহে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করব।’

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, মাঠ সংস্কারের চেয়ে মার্কেট নির্মাণ করে তা থেকে আয়ের দিকেই ডিএসসিসির নজর বেশি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, ‘সিটি করপোরেশন কয়েকবার এখানে বিভিন্ন কিছু করা চেষ্টা করেছে। বারবারই তারা মার্কেটের ওপর প্রাধান্য দিচ্ছেন। মাঠটা যেন মাঠ থাকে, আমার ছেলে-মেয়েরা যেন খেলাধুলা করতে পারে এটাই প্রত্যাশা করি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, সিটি করপোরেশনের এই কাজগুলো বন্ধ করা উচিত। মাঠটা শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। যাতে এখানে খেলাধুলা করা যায়।

তবে, এই কাজের প্রকল্প পরিচালক বলছেন মাঠ দখল নয়, তা সংস্কার করতে চান তারা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রকল্প পরিচালক আবুল হাশেম বলেন, ‘তাদের মাঠ তাদেরই থাকবে, তারাই খেলাধুলা করবে। মার্কেটটা একটা সাইডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা আরও সুন্দর হবে। এতে মাঠের কোন সমস্যা হবেনা।’

বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার চিঠিও দিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে।

বার্তাবাজার/ই.এইচ.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর