আদালতের রায়ের পরও বিনা নোটিশে জায়গায় লাল নিশান

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আদালতের রায়ের পরও জায়গার উপর লাল নিশান স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দাবি, মামলায় রায়ে নিস্পত্তি হওয়ার পরও জায়গাটি দখলের চেষ্টা করছে ভূমি অফিস।

আর ভূমি অফিসের দাবি, এই জায়গা সংক্রান্ত মামলা এখন চলমান আছে। বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে সমালোচনার ঝড়।

পত্তন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন অভিযোগ করে বলেন, এই জায়গাটি ১.৫৬একর। যার সাবেক দাগ নম্বর ২৮৪৮। এরমধ্যে সরকারের ১.১১একর ও আমার ৪৫শতাংশ জায়গা।

একই দাগে যেহেতু দুইটি জায়গা, তাই ২০০২সালে আমি বন্টন করতে মামলা দায়ের করেছিলাম। যার মামলা নং-১৮৩। ২০০৫ সালে আদালতে এই মামলার রায়ে আমি আমার জায়গা বুঝে পাই। মামলায় রায় আমার পক্ষে আসায় ভূমি অফিস আপিল করে। যার আপিল নং-১৭৯।

২০১০সালে ওই আপিলে জজ আদালতের রায় আমার পক্ষে দেন। রায়ের পর আমার জায়গা বন্টন করে দিতে ডিক্রি জারি করেছিলাম। ডিক্রি জারির পর আমার ৪৫শতাংশ জায়গা বুঝিয়ে দেন। ২০১২সালে সরকারের পক্ষ থেকে এই জায়গা নিয়ে হাইকোর্টে পুনরায় আপিল করেন। ২০১৬সালে হাইকোর্টের আপিলের রায়েও আমার পক্ষে রায় আসে।

সম্প্রতি আমি আমার জায়গায় ঘর উঠাতে গেলে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে তহশিলদার জায়গায় লাল নিশান সাটিয়ে দিয়েছেন। এর ব্যাখা জানতে চাইলে তহশিলদার জাকির হোসেন আমাকে জানিয়েছেন, উনারা আপিল করবেন সুপ্রিম কোর্টে। আপিল করার কাগজপত্র তো আমি খোঁজ করেও পায়নি।

তাহলে আপিল করার আগেই কেন আদালতের রায় দেওয়ার পরও আমার জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে? আমি আমার ৪৫শতাংশ জায়গা ঘর তুলছি, সরকারি ১.১১একর জায়গায় দখল করেনি।

তিনি বলেন, এনিয়ে ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান।

বিনা নোটিশে কেন জায়গা লাল নিশান স্থাপন করা হলো? এই প্রশ্নের জবাবে পত্তন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার জাকির হোসেন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এই জায়গা লাল নিশান স্থাপন করেছি। কেন নিশানা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন, এটা উনারা বলতে পারবেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসার সায়মা বলেন, এই জায়গা নিয়ে মামলা বিচারাধীন আছে। মামলা নিস্পত্তি এখনো হয়নি। তাই উনি এখানে ঘর তুলতে পারেন না।

মো: রাসেরে মিয়া/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর