মসজিদে হাটু পানি, নৌকায় জুম্মার নামাজ আদায় করলেন মুসল্লিরা

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে মসজিদের ফ্লোরে নৌকা ভিড়ায়ে মুসাল্লিগন নামাজ আদায় করছেন। উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া বিশ্বাসবাড়ি জামে মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজের মুসাল্লিগন এ ভাবে নৌকা নিয়ে নামাজ আদায় করে থাকেন।

গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে প্রভাবে প্রতাপনগরের একাধিকপয়েন্টের দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে লবন পানি প্রবেশ করে।

এতে করে মানুষের ঘর-বাড়ি,ক্ষেত-খামার, মাছের ঘের, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি ধর্মীয়উপাসনালয় মসজিদ ও মন্দিরগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ২৪ দিন পার হলেও এখনোবেড়িবাঁধ আটকানো সম্ভব হয় নি। ফলে ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ এখনো পানি বন্দি জীবনযাপন করছে।

মানুষের ঘর বাড়ি, মসজিদ ও মন্দিরগুলোতে জোয়ার ভাটার লবন পানি ওঠা নামা করছে।বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাযে ৫ বার মসজিদে হাজিরা দিতে হয়। জোয়ার ভাটার কারনে অনেকে ঠিকমত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারছেন না। যারা যাচ্ছেনতারা অধিকাংশই কোমর সমান পানিতে ভিজে মসজিদে যাচ্ছেন। তবে কেউবা আবার নৌকা নিয়ে আসছেন নামাজ আদায় করতে।

মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি মাস্টার মইন উদ্দিন বলেন,আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসাজিদে যেয়ে আদায় করতাম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর থেকে আজ ২৪ দিন পার হয়ে গেল আমি নামাজে যেতে পারিনা। জুমার নামাজে যাই তাও নৌকায় চড়ে, মসজিদের ফ্লোরে যেয়ে নৌকায় পড়তে হয়।

মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওঃ নাছির উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন ৫ বার কোমর সমান পানিতে ভিজে মসজিদে যাই আজান দিতে। মসজিদে যেয়ে কাপড় পরিবর্তন করতে হয়। নামাজে ৫ থেকে ৭ জন মুসাল্লি অংশগ্রহণ করেন তাও ভিজা কাপড়ে। জোয়ারের সময় নামাজআদায় করতে হয় দাড়িয়ে কারণ সেজদার জায়গায় পানি উঠে যায়।

মীর খায়রুল আলম/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর