মাগুরায় লকডাউনে দরজা আটকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলছে প্রশিক্ষণ!

মাগুরা জেলা প্রশাসকের ঘোষণা অনুযায়ী মাগুরা শহরে ও মহম্মদপুর উপজেলায় চলছে লকডাউন। অথচ মাগুরা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে দরজা আটকে চালানো হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ।

গত ১৩ জুন, এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম এক আদেশ জারী করেছেন। সেখানে লেখা আছে- সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল থেকে মাগুরা শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত লকডাউন বলবত থাকবে।

পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা ব্যতীত শহরে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। সন্ধ্যা ৬টার পর খাবার ও ঔষুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে এবং শহর ব্যাপি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।

সেখানে বলা হচ্ছে সকল প্রকার সভা সেমিনার বন্ধ থাকবে।একই সাথে সকল প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠানাদি,সভা সমাবেশ, জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়।

অথচ মাগুরা সদরে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প (ইউজিডিপি) স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর সহায়তায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে চলছে প্রশিক্ষণ ।

যেখানে আইসিটি দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় গত ১৩ জুন থেকে নিয়মিত সেখানে শিক্ষকদের জমায়েত হচ্ছে। গত ১৩ জুন থেকে জেলা প্রশাসক ড.আশরাফুল আলম মাগুরা শহরকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন।তাহলে কিভাবে চলছে এ প্রশিক্ষণ?

লকডাউনের মধ্যে কিভাবে প্রশিক্ষণ হচ্ছে এবিষয়ে জানতে চাইলে আয়োজকরা কোন কথা বলতে রাজি হন নি বরং অডিটোরিয়ামের দরজা বন্ধ করে দেন।

১৩ জুন, এক গণবিজ্ঞপ্তির আদেশ জারী করেছেন

লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে জেলা শহরের প্রবেশের সকল পথে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।

এতে করে শহর এলাকার তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিন চাকার যান চালকেরা ও দিনমজুরেরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পেশাগত দায়িত্ব পালনে শহরে প্রবেশ করলে জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকসহ দায়িত্বশীল বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের নানা ভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে। এমনকি তাদের কে বিভিন্ন অংকের জরিমানা পরিশোধে করতে বাধ্য করা হচ্ছে।কাউকে কাউকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হচ্ছে।

এ অবস্থায় লকডাউন চলাকালে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের স্ববিরোধী কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষকদের এ প্রশিক্ষণের বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃইয়াছিন কবীর বলেন,মাগুরা শহর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সদর উপজেলা পরিষদ লকডাউনের বাইরে। তাছাড়া এখানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রশিক্ষণ চালানো হচ্ছে।

তাছিন জামান/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর