করোনার মধ্যেও বাংলাদেশে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা চলমান: শিল্পমন্ত্রী

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি স্বত্বেও বাংলাদেশে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা চলমান রয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী আজ গাজীপুরের শ্রীপুরে নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড এর অত্যাধুনিক ‘ইনফ্যান্ট ফর্মুলা প্রসেসিং, ফিলিং এবং প্যাকেজিং প্ল্যান্ট’ এর ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী জানান, তিনি ২০১৯ সালে অক্টোবরে সুইজারল্যান্ডের নেসলের হেড কোয়ার্টার, কোনলফিঙ্গান ফ্যাক্টরি (Konolfingan Factory) এবং নেসলে গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং সেই সময়ে নেসলের নেতৃত্ব দানকারী দলের সাথে বাংলাদেশে তাদের বিশ্বমানের কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, এটি আমার কাছে সন্তুষ্টির বিষয় যে, নেসলে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। নেসলে বাংলাদেশ করোনা মহামারির মধ্যেও এ প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করে। এতে দেশে শিল্পায়ন বৃদ্ধির পাশাপাশি অধিকহারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে নেসলে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপাল আবেইউইক্রেমা ‘ইনফ্যান্ট ফর্মুলা প্রসেসিং, ফিলিং এবং প্যাকেজিং প্ল্যান্ট’ এর নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়াটির প্রতিটি পদক্ষেপে সব ধরনের সহায়তার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ‘সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’-সমূহ অর্জনে চূড়ান্ত অগ্রগতি লাভ করেছে এবং দ্রুততম বর্ধমান অর্থনীতি হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।

নেসলে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপাল আবেইউইক্রেমা (Deepal Abeywicrkrema) এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনভেষ্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম খান। এতে অন্যদের মধ্যে নেসলে সাউথ এশিয়া রিজিওনের মার্কেট প্রধান সুরেশ নারায়ণ; নেসলে জোন এশিয়া-অশেনিয়া-আফ্রিকার পুষ্টি বিভাগের প্রধান আরশাদ চৌধুরী; নেসলে জোন এশিয়া-ওশেনিয়া- আফ্রিকা-এর রিজিওনাল ম্যানেজার স্টিফান বার্নহার্ড এবং নেসলে জোন এশিয়া-ওশেনিয়া-আফ্রিকার টেকনিকাল প্রধান ক্রিশ্চান শ্মিড আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, নেসলে বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর নকীব খান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে নেসলের পথচলা গত ২৬ বছরেরও বেশি সময়ের। বাংলাদেশের অগ্রগতির এক অনন্য অংশীদার নেসলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে গত বছর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৬০০ কোটি টাকার অবদান রেখেছে এবং টানা পাঁচ বছর ‘খাদ্য ও অন্যান্য’ বিভাগে সর্বাধিক করদাতা পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে উন্নতমানের শিশু খাদ্য তৈরির ক্ষেত্রে নেসলের এই নতুন প্ল্যান্টে সর্বশেষ প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন যোগ করা হয়েছে।বিশ্বব্যাপী, ইনফ্যান্ট ফর্মুলা পণ্যগুলি নেসলের ‘রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট’-এর সর্বশেষ অগ্রগতির ফলাফল এবং বিশ্বে নেসলের কেবলমাত্র ৩৪টি কারখানা রয়েছে শুধুমাত্র এই ধরনের ‘ইনফ্যান্ট ফর্মুলা’ পণ্যের জন্য। সদ্য উন্মোচিত এই প্ল্যান্ট-এর মাধ্যমে নেসলে বাংলাদেশ এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় এখন এক অন্যতম নাম। ১৫০ কোটি টাকার এই বিনিয়োগ উন্নত পুষ্টিকর খাদ্যের পাশাপাশি, এ দেশে আরো সুযোগ, যেমন কর্মসংস্থান, যুগান্তকারী উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আনবে।

বার্তাবাজার/ই.এইচ.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর