ঈশ্বরগঞ্জে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ পাচ্ছে ৯০ অসহায়

ভূমিহীন অসহায় বিধবা ভিক্ষুক সালেমা খাতুন। বহুবছর পূর্বে স্বামী মারা গেছেন। মানুষের বাড়িতে ভিক্ষা করে যাযাবরের মতো জীবন চলে তার। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের পৌর এলাকার ভিক্ষুক সালেমা খাতুন পেতে যাচ্ছেন ‘স্বপ্নের ঠিকানা’। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাকা পাড়ি পাচ্ছেন তিনি। যা জীবদ্ধশায় কোনোদিন কল্পনাও করতে পারেননি ভিক্ষুক বৃদ্ধা।

‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুজিব বর্ষে ২০২০-২১ অর্থ বছরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৫০ জন আশ্রয়হীন মানুষ আশ্রয় পায়। দ্বিতীয় পর্যায়েও ৯০ জন অসহায়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে স্থায়ী ঠিকানা। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাঝিয়াকান্দি গ্রামের ১০, সরিষার খানপুর গ্রামের ১৪, আঠারবাড়ির বিষ্ণুপুর গ্রামে ১০, মাইজবাগের সাধারপাড়া গ্রামে ৯, মগটুলার ধীতপুরে ৪, রাজীবপুরের লাটিয়ামারিতে ১৫, চরপাড়ায় ৭, ভাটিরচরনওপাড়া ভান্ডারি বাজারে ১২, উচাখিলার মরিচারচরে ৪ ও তারুন্দিয়ার মাটিখলা গ্রামে ৫ টি পাকা ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে।

আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসূচির আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক খাস জমি প্রদান করে প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যায়ে দুই কক্ষ বিশিষ্ট আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে একই ডিজাইনের বাড়ি নির্মিত হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকায়। টিনের চাল, দেয়াল ও মেঝে পাকা বাড়ি গুলো সরকার নির্ধারিত একই ডিজাইনে নির্মাণ করা হচ্ছে। বাড়িতে থাকছে রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট ও ইউলিটি স্পেসসহ অন্যান্য সুবিধা। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের গৃহনির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে।

আগামী ২০ জুন সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর আনুষ্ঠানিক ভাবে ঠিকানা বিহীন অসহায়দের হাতে নতুন ঘরের চাবি তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। ঘর গুলো সঠিক ভাবে নির্মাণ কাজ হচ্ছে কি না তা সার্বক্ষণিক তদারকিতে ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।

উপজেলার সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাজান ভুঁইয়া বলেন, যে ঘর গুলো নির্মিত হচ্ছে তাতে বরাদ্দ বাড়ানো হলে আরও বেশি মজবুত হতো। বেইজ গাঁথুনি ও লিনটেন ঢালাই করে ভালো ভাবে দেওয়া গেলে ঘরগুলোর স্থায়ীত্বও বেড়ে যেতো।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে ঠিকানা বিহীন অসহায় মানুষ গুলো স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে খুশি। স্বাচ্ছতার সঙ্গে গুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

আরিফুল হক/বার্তাবাজার/ই.এইচ.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর