সাতক্ষীরায় করোনায় আয় কমেছে নরসুন্দরদের

করোনা কমলেও আয় বাড়েনি। আর এতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। টানা লকডাউনে বেড়েছে কর্মহীনতা। এতে করে ঘরবন্দি মানুষের পরিবারে অভাব দেখা দিয়েছে। এতে অনেক কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে অধিকাংশদের।

এমনই কথা জানাচ্ছিলেন সাতক্ষীরার নর সুন্দর পেশায় জড়িত ব্যক্তিরা।

এক সময় হাট-বাজারে,বাড়ি বাড়ি গিয়ে অস্থায়ীভাবে চুল,দাড়ি কামানোর নর সুন্দররা আয় কম হওয়ায় আর দৈনিন্দ ব্যয় বাড়ায় পূজি সংকটে চরম দূরাবস্থায় দিনাতিপাত করছে। অন্য দিকে আধুনিক সভ্যতায় অত্যাধুনিক সাজ-সজ্জায় সেলুনঘর গুলোতে বেশি লোকসমাগম হওয়ার ফলে তাদের আয় আরও কমে গেছে।

এক সময় এ পেশার মানুষেরা বাজারের এক পাশে পলিথিন টাঙিয়ে,পথের ধারে বা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কম টাকায় জীবন সংসারে অর্থ উপার্জনের জন্য বাপ দাদার এ পেশাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন বাজারে উন্নত মানের সেলুন হওয়ায় তাদের কাষ্টমার কম হতে দেখা যায়।

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তুয়ারডাঙ্গার মৃত পঞ্চরাম শীলের পুত্র মিঠুন শীল (৪০),মৃত মানিক শীলের পুত্র সুকান্ত শীল (৩৫),রাউতাড়ার ধীরেন শীল বার্তা বাজারকে জানান, আমরা দীর্ঘ্য দিন ধরে বাপ দাদার এ পেশাকে জীবিকা অর্জনের একমাত্র অবলম্বন হিসাবে ধরে রেখেছি। আমাদের আর্থিক অনটন থাকায় উন্নত মানের সরঞ্জাম,স্থায়ী দোকানঘর না থাকায় খুব কম কাজ হয়। এ অল্প আয়ের মধ্যে সংসার খরচ,ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া,সরঞ্জাম ক্রয় করতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। আগে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত কাজ নিয়ে ব্যস্থ থাকতে হতো।

অনেকের বাড়িতে ডাক পড়ত। এখন তেমন আর হয় না। সরকার যদি আমাদের প্রকৃত শীলদের তালিকা করে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করত তাহলে আমরা উপকৃত হতাম। আমাদের ছেলেমেয়ের লেখাপড়া করতে পারতাম। অনেকে এ পেশা পরিবর্তন করে জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় চলে গেছেন।

তাই এই করোনকালিন সময় বিভিন্ন উপকারভোগীর তালিকার পাশাপাশি নর সুন্দরদের সুবিধার আওতায় আনা গেলে তারাও সচ্ছল ভাবে জীবন যাপন করতে বলে মনে করেন সুধিজনরা।

মীর খায়রুল আলম/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর