যশোরে লকডাউন বাড়ল আরও ৭ দিন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় যশোরে চলমান লকডাউন আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফার এই লকডাউন ১৬ জুন থেকে চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত।

করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়। নতুন করে আরও বেশ কয়েকটি এলাকা লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।

যশোর জেলা সদরের চাঁচড়া, উপশহর, আরবপুর ও নওয়াপাড়া ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এবার ঝিকগাছা ও নওয়াপাড়া পৌরসভা, শার্শা উপজেলার শার্শা ইউনিয়ন এবং বেনাপোল বাজার লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।

বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, লকডাউনের এ সময়ে জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে গণপরিবহন (বাস) চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, রোগী পরিবহনকারী যান, জরুরি পণ্য বহনকারী ট্রাক চলাচল করতে পারবে।

এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার মধ্যে আন্তঃজেলা গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। কিন্তু গণপরিবহন অন্য জেলায় যেতে পারবে না ও অন্য জেলার গণপরিবহন যশোরে ঢুকতে পারবে না।

কাঁচাবাজার, ফুল ও নিত্য প্রয়োজনীয় (মুদিখানা) পণ্যের দোকান সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সব ধরনের দোকানপাট, শপিংমল, বিপণী বিতান বন্ধ থাকবে।

খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরা সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে হোটেলে-রেস্তোরায় বসসে খাবার খাওয়া যাবে না। তারা কেবল খাবার বিক্রি করতে পারবে।

এছাড়াও বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, সবাইকে ঘরে অবস্থান করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া আর কেউ উঠতে পারবে না। রিকশায় একজন ও ইজি বাইক, অটোরিকশায় সর্বোচ্চ দুইজন যাত্রী উঠতে পারবেন। লকডাউন চলাকালে পর্যটনস্থল, পার্ক, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। বিয়ে, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টিসহ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন।

বার্তাবাজার/নব

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর