চারঘাটে ‘সাবান পানির সংকটে ব্যাহত হাত ধোয়ার প্রকল্প

রাজশাহীর চারঘাটে করোনার সংক্রামণ রোধে পথচারীদের হাত ধোয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেসিন স্থাপন করা হয়েছে।

কিন্তু কয়েক মাসের ব্যবধানে দু’একটা সচল থাকলেও অধিকাংশ জায়গাতেই নেই পানি , সাবান। হাসপাতালসহ উপজেলা পরিষদে প্রবেশের সময় সাধারণ মানুষ হাত না ধুয়েই প্রবেশ করছেন। এতে করে করোনা ভাইরাসে সংক্রামণ বাড়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে উপজেলা পরিষদ চত্বর ও থানা কার্যালয়ের সামনে পথচারীদের হাত ধোয়ার জন্য তিনটি বেসিন প্রয়া নব্বই হাজার টাকা ব্যয়ে বসানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ চত্বরের বেসিনগুলোর মধ্যে হাসপাতালে স্থাপিত বেসিনে সাবান, পানি নেই। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে বেসিন ব্যবহার করা হয়নি। শুধু থানার ভেতরের বেসিনটি সচল রয়েছে।

চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশপথে হাত না ধুয়ে কেন প্রবেশ করছেন আব্দুল করিম নামের একজনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বার্তা বাজারকে বলেন, ‘বেসিন লাগানো হয়েছে তা লাগানো পর্যন্তই শেষ। প্রথম দিকে সবকিছু সচল থাকলেও এখন আর কোনও গুরুত্ব নেই। সেখানে যে হাত ধুবো তাতে তো সাবান নেই। হাত ধুবো কীভাবে? তাই হাত না ধুয়েই প্রবেশ করছি।’

সাজ্জাদ হোসেন নামের আরেকজন বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে কিছুক্ষণ পরপর হাত ধোয়া কার্যকরী পদক্ষেপ, থাকলেও পরবর্তী  সময়ে  অভ্যবহৃত ভাবে পরে আছে।

উপজেলা পরিষদ চত্বরে আব্দুর রহিম বলেন, এখানে সাধারণ মানুষের হাত ধোয়ার জন্য বেসিন বসানো হয়েছে। কিন্তু বেসিনে পানির ব্যবস্থা নেই। যার কারণে মানুষ হাত ধুতে পারছে না।

চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালের সামনের বেসিনে প্রথমের দিকে সাবান দিয়েছিলাম কিন্তু সেখানে সাবান থাকে না। তারপরে সেখানে নেট দিয়ে সাবান বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এরপরেও কীভাবে হারিয়ে গেল বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া লাগবে এটি সবাই জানে। কিন্তু এটি করতে বাধ্য করা তো যায় না। মানুষ নিজে থেকে যদি সচেতন না হয় তাহলে এটি করা অসম্ভব।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, সাধারণ মানুষের হাত ধোয়ার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিষদ চত্বর ও থানা কার্যালয়ের সামনে তিনটি হাতধোয়ার বেসিন বসিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।

বেসিনগুলোতে পানির ব্যবস্থা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর সাবানের ব্যবস্থা আমাদের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। বর্তমানে সেগুলো দেখভালের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোর। এখানে আমাদের কোনো দায়িত্ব নেই।

মোঃ নবী আলম/ বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর