বিয়ে নিয়ে লুকোচুরি, বিপাকে মোস্তাফিজের পরিবার

বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমানের বিয়ে আজ (শুক্রবার) জুম্মার নামাজের পর, অথচ তার বিয়েকে ঘিরে কোন আয়োজনই নেই কোনো বাড়িতে। এমনকি নেই কোনো আত্নীয়-স্বজনের ভিড়ও।

অনেকটা লুকোচুরি করেই বিয়ে হচ্ছে খ্যাতিমান এই তারকা ক্রিকেটারের। বৃহস্পতিবার রাতের আধারে হয়েছে মোস্তাফিজের গায়ে হলুদ। তারকা এই ক্রিকেটারের বিয়ে নিয়ে লুকোচুরিতে ক্ষোভ ভক্তবৃন্দের সঙ্গে সংবাদকর্মীদেরও।

গতকাল সকালে মোস্তাফিজের বিয়ের খবর শোনার পর থেকেই স্বাভাবিকভাবেই ভক্তকুল ও সংবাদকর্মীদের মাঝে আলোড়ন ফেলে এ বিষয়টি। যে কারণে সকাল থেকেই মোস্তাফিজ ও তার শ্বশুরবাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে সংবাদকর্মীরা। কিন্তু নানান বাহানায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই চলতে থাকে বিয়ের ব্যাপারে লুকোচুরি।

তবে আকাশে চাঁদ উঠলে যেমন তা লুকোনোর সাধ্য নেই কারো, তেমনি তারকা ক্রিকেটার মোস্তাফিজের বিয়ের খবরও চাপিয়ে রাখতে পারেনি দুই পরিবার। তবে খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে সবকিছু সম্পন্ন করায় কোনোরকম ছবি তোলা সম্ভব হয়নি মোস্তাফিজের গায়ে হলুদের। পাওয়া গেছে বেশ কিছু তথ্য।

নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আক্ষেপ করে আমাদের প্রতিনিধি বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও গায়ে হলুদের কোনো ছবি তোলা যায়নি, পাওয়াও যায়নি। এত লুকোচুরি করলে আসলে কিছুই করার থাকে না।’

উভয় পরিবারের সদস্যরাও বিয়ে নিয়ে সঠিক কোন তথ্য দিচ্ছেন না। যার কারণে বিভ্রান্তি আর ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে সংবাদকর্মীদের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মোস্তাফিজ পরিবারের একাধিক সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা হয়। ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দেন সকলেই।

অবশেষে মুখোমুখি হন মোস্তাফিজুর রহমান হবু শ্বশুর সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও মোস্তাফিজের মেঝো মামা মো.রওনাকুল ইসলাম বাবু। তবে বাড়িতে চার টেবিল বসার জায়গায় ছোট একটি লাল রংয়ের প্যান্ডেল থাকলেও বিয়ের আয়োজন নিয়ে সঠিক কোন তথ্যই দেননি তিনি।

তিনি বলেন, ‘এখনো বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। এত বড় খেলোয়াড়ের বিয়ে হচ্ছে কোন আয়োজন নেই। বিয়ে হলে অবশ্যই জানতে পারবেন।’ তবে ওই বাসার কাজের মহিলা জানিয়ে দেন বিয়ে হচ্ছে শুক্রবার দুপুরে।

এদিকে, মোস্তাফিজুর রহমানের হবু স্ত্রী সামিয়া পারভীন শিমু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। বিয়ের জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই বাড়ি ফিরেছেন তিনি। সম্পর্কে তারা মামাতো ভাই-বোন। তবে অনেক আগে থেকেই তাদের চেনা-জানা। উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও রয়েছে বলে জানান উভয় পরিবারের আত্নীয়-স্বজন।

অন্যদিকে, মোস্তাফিজুর রহমানের তেঁতুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতেও নেই আয়োজন। আনাগোনা নেই কোনো আত্নীয়-স্বজনদের। বিয়ে নিয়ে লুকোচুরি করায় ক্ষোভ আত্নীয়দের মাঝেও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোস্তাফিজদের এক নিকটাত্নীয় বলেন, ‘বিয়ের বিষয়ে কিছু জানায়নি আমাদের। ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিয়ে নিয়ে লুকোচুরি করার কি আছে।’

মোস্তাফিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হাফিজুর রহমান হাফিজ জানান, ‘বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে মোস্তাফিজের গায়ে হলুদ হয়েছে। সেখানে আমরা কয়েকজন ছিলাম মাত্র। বাইরের কেউ ছিলেন না। মোস্তাফিজদের ভাইবোনসহ পরিবারের কয়েকজন।’

মোস্তাফিজের সেজো ভাই মোকলেসুর রহমান পল্টু বলেন, ‘বিয়েতে বাইরের কাউকে বলা হয়নি। গোপনে সম্পন্ন করার কথা ছিলো। তবে মিডিয়ার কারণে এখন আর গোপন নেই। নিজেদেরই এখন নানান কথার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিয়ের পর বড় করে আনুষ্ঠানিকভাবে সকলকে জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটি আর করা হলো না। বিয়েটা আজ দুপুরেই হচ্ছে তবে কোন বাড়তি আয়োজন ছাড়াই। তবে বিশ্বকাপের পর বিবাহ পরবর্তী বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।’

সোর্স: জাগো নিউজ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর