দুর্ঘটনায় ট্রেন, ফেসবুক লাইভে ব্যস্ত জনতা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করেছে ফায়ার সার্ভিস, পুশিল ও বিজিবি। উৎসুক জনতার ভিড়ের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদুস হাসান। এছাড়া জনতার ফেসবুক লাইভের কারনে উদ্ধারাভিযানে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যদের বেগ পেতে হচ্ছে।

এর মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে সিলেটের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ।

ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনাস্থল দেখাতে অতি উৎসাহীরা এমন ভাবে জড়ো হচ্ছেন যে তাদের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ।

দুর্ঘটনা এলাকা থেকে উৎসুক জনতাকে সরে যেতে মাইকিং করছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ফেসবুক লাইভ বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। যাতে যত দ্রুত সম্ভব যাত্রীদের উদ্ধার করা যায়।

প্রত্যক্ষ দর্শীদের ভাষ্য মতে, দ্বিগুণের বেশি বা প্রায় আড়াইগুণ যাত্রী বহন করছিল ট্রেনটি। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় কালভার্ট ভেঙে ট্রেনটি খালে পড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন বিশ্লেষকরাও। জানা গেছে প্রতিটি বগির যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৬০। সেখানে প্রায় প্রতিটি বগিতে দেড়শ যাত্রীা বহন করা হচ্ছিল।

৬০ জনের একেক বগিতে ১৮০ থেকে ২০০ জন থাকার কথা বলছেন অনেক যাত্রী। ২ বগি খালের পানিতে পড়ার পাশাপাশি ৪/৫ টি বগি কালভার্টের পাশের খেতে আছড়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণ তাৎক্ষণিক উদ্ধার কাজ শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।

কুলাউড়ার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় যাত্রীদের মালামাল ও ভিড় সামলাতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনার পর সেখানে চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। উদ্ধারের বদলে যাত্রীদের মালামাল নিয়ে সটকে পড়ছে সুযোগ সন্ধানী কিছু ব্যক্তি।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাওয়া ৬ জন নিহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা গেছে। পানির নিচে আরও অনেকে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রবিবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে রেল কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণ জানিয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর