গণপরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য, চলছে হত্যাও

ডেস্ক রিপোর্ট : গণপরিবহন সেক্টরগুলোতে নৈরাজ্যের প্রতিবাদ করলেই রোষানলে পড়তে হয় যাত্রীদের। হেনস্থার মাত্রা গিয়ে ঠেকেছে হত্যায়। বাস থেকে ফেলে ও চাপা দিয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সারাদেশে কমপক্ষে ৭টি হতাহতের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়। চালকদের দাবি, মালিকদের নির্ধারিত টাকা ও অবৈধ চাঁদা পরিশোধ করতে গিয়ে নিয়ম ভাঙেন তারা। পরিবহন মালিকদের মন্তব্য, আইন মেনে চলাচল নিশ্চিত করা গেলে সমস্যাগুলো দূর করা সম্ভব।

রোজার ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহ থেকে গাজীপুর আসার পথে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে বাস চাপা দিয়ে হত্যা করা সালাউদ্দিনকে। পরিবারের দাবি, ফেলে দেয়ার আগে তাকে মারধর করে চালকের সহকারী।

চলতি বছর বাস থেকে ফেলে ও পিটিয়ে হতাহতের ৭টি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়। ২০১৮ সালেও শ্লীলতাহানি, ছিনতাই ও বাকবিতণ্ডার পর ১৪টি হত্যার অভিযোগ ওঠে বাস কর্মীদের বিরুদ্ধে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সার্বিক অব্যবস্থাপনার কুফল হিসেবে আমরা এটা মনে করছি। পরিবহন খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা থাকলে আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারতাম।’

দূরপাল্লার চেয়ে মেট্রোপলিটন এলাকা ও স্বল্প দূরত্বের রুটে ভাড়ার টাকা নিয়ে মতবিরোধের ঘটনা বেশি ঘটে। বেপরোয়া চালনা ও যেখানে সেখানে যাত্রী ওঠানোর প্রতিবাদ করায়ও হয়রানির শিকার হন অনেকে।

বেশিরভাগ সময়ই এ ধরনের ঘটনা পাশ কাটিয়ে যান অন্য যাত্রীরা। চালক ও সহকারীর পরিচিতি দৃশ্যমান না থাকায় ৯৯৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানানোও সম্ভব হয় না।

বিআরটিএর পরিচালক নাসিম হায়দার বলেন, ‘যে ফিটনেস আমরা দিচ্ছি, এক বছর পর তা নাও থাকতে পারে। এটা মালিককে দেখতে হবে। যাত্রীদেরও দেখতে হবে।’

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গঠিত কমিটির কাজ চলছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মন্তব্য, আচরণবিধি ও আইন বিষয়ে ধারণা দিতে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট সিল করে রাস্তায় যাত্রী ওঠা যাতে পুরোপুরি বন্ধ করা হয় সে জন্যে আমরা কাজ করছি। ৬ লক্ষ ড্রাইভার আগামী ৫ বছরে তৈরি করার প্রকল্প শুরু করেছি।’

ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে চাকরি নেয়া এবং লাইসেন্সবিহীন চালক নিয়োগ বন্ধ করলে অভিযুক্তদের দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব বলে মনে করেন যাত্রীরা।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর