একটি ঘর ছাড়া আর কিছুই চাওয়ার নেই ভিক্ষুক জমেলা খাতুনের

বৃদ্ধা জমেলা খাতুনের দাবি তার বয়স ৮০ বছর। স্বামী অনেক আগে মারা গেছেন। নেই কোন জমি জায়গা তাইতো করতোয়া নদীর কাছে সরকারি রাস্তার ধারে বহু কষ্টে করা ছোট একটি টিনের চালায় বসবাস করে আসতেছেন। এক মুঠো ভাতের আশায় ভিক্ষা করেই বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে তার জীবন।

জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের অমরখানা গ্রামে তার বসবাস। দেবীগঞ্জের গ্রামেগঞ্জে, হাটে, বাজারে ভিক্ষা করে মানবেতর জীবন কাটছে ওই বৃদ্ধার।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ফজরের আজানের সঙ্গে সঙ্গে বের হয়ে পরেন তিনি। দিনভর শহরে, গ্রামগঞ্জে ভিক্ষা করে চলে তার জীবন। লাঠি ভর করে চলা এই মানুষটি ঠিক মতো চোখেও দেখেন না। তাই ভিক্ষা করতে গিয়ে অনেক বার ঘটেছে দুর্ঘটনা। বর্তমানে বিভিন্ন রোগে রাস্তার ধারে খেয়ে, না খেয়ে মানবেতর জীবন কাটছে ওই বৃদ্ধা ভিক্ষুক মহিলা।

মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বয়সের ভারে ঠিকভাবে কথা বলতে না পারা জমেলা খাতুন জানান, আমার স্বামী অনেক আগেই বিভিন্ন রোগে মারা যান। রেখে গেছেন এক ছেলে মো: জয়নউদ্দিন (৪০), ও এক মেয়ে মোছা: মরিয়ম (৪৬)।

তিনি আরো জানান যে, অভাবের সংসারে আমার বড় মেয়ের রোগ (মানসিক সমস্যা) দেখা দেয়, টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারি নাই। আজ আমার বড় মেয়ে পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় জীবন কাটাচ্ছে। আর ছোট ছেলে দিন মজুরি দিয়ে কোন মতে চার সদস্য নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। ৮০ বছরের ওই বৃদ্ধা এখন আর ভিক্ষার ঝুলি বহন করতে পারছেন না।

ওই বৃদ্ধা ভিক্ষুক মহিলার ছেলে জয়নউদ্দিন জানান, একটা ভূমিহীন ঘরের জন্য চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে বহুবার গিয়েছি কোন কথায় শুনে না, এবং কি কোন সরকারি সহায়তা দিচ্ছে না। তাই জীবনযাপন করার জন্য মোটামোটি ভালো আশ্রয়স্থলের একটি ঘর খুবই প্রয়োজন। ওই বৃদ্ধা মহিলা ভিক্ষুককে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গৃহ নির্মাণের ব্যবস্থা করে দিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয়রা।

এস.এম.আল-আমিন/বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর