রপ্তানী বেড়েছে গোল আলুর, চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত আয় দেড় লাখ মার্কিন ডলার

দেশের চাহিদা মিটিয়ে গোল আলু এখন অন্যতম রপ্তানি পণ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। করোনাকালে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে বেড়েছে আলুর রপ্তানি। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, বাহরাইন, সৌদি আরবসহ বিশ্বের দশটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে দেশে উৎপাদিত আলু। প্রতিবছর এই বন্দর দিয়ে আলু রপ্তানি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত আলু রপ্তানিতে রাজস্ব এসেছে দেড় লাখ মার্কিন ডলারের বেশি।

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে আলুর বাৎসরিক চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ মেট্রিক টন হলেও উৎপাদন প্রায় ৯০ লাখ মেট্রিক টন। তাই দেশের চাহিদা মিটিয়ে ২০ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত আলু রপ্তানি হয়েছে ৫০ হাজার ১’শ ১৩ মেট্রিক টন। বাকি আছে আরো দুই মাস। এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৯ হাজার ১’শ ৫৩ মেট্রিক টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩২ হাজার ১’শ ১৫ মেট্রিক টন এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে আলু রপ্তানি হয়েছিল ৩১ হাজার ৪’শ ২ মেট্রিক টন। উৎপাদিত এসব অলুর ৯৫ শতাংশ রপ্তানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।

রপ্তানি তথ্য মতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ লাখ ৩১ হাজার ৪’শ ৩২ মার্কিন ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮৬ হাজার ৭’শ ৬৫ মার্কিন ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯৫ হাজার ৫’শ ৮০ মার্কিন ডলার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯৩ হাজার ৪’শ ৫৮ মার্কিন ডলার এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের এ পর্যন্ত আয় ১ লাখ ৭১ হাজার ৫’শ ২০ মার্কিন ডলার। অর্থবছরের বাকি দুই মাসে আরো বাড়বে আলুর রপ্তানি।

সবজি রপ্তানিকারক মাহবুব রানা বলেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে উৎপাদিত আলুর চাহিদা রয়েছে বেশি। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের দশটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে দেশে উৎপাদিত আলু।

রপ্তানিকারক মাহফুজুর রহমান মিন্টু বলেন, রাশিয়া ও হাঙ্গেরিতে বাংলাদেশের আলুর বেশ চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে আলু নিচ্ছে না তারা। তাই রাশিয়া ও হাঙ্গেরীতে রপ্তানি বাণিজ্য চালু করতে সরকারের আরো ভূমিকা রাখা দরকার।

প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন স্টেশন চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, রপ্তানিযোগ্য এসব আলু শতভাগ কিটনাশক ও পোকামাকড়মুক্ত তা নিশ্চিত হয়ে উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সনদ দিয়েই পাঠানো হয় দেশের বাইরে।

তিনি আরো বলেন, রাশিয়া ও হাঙ্গেরীতে আলু পাঠাতে উদ্ভিদের যেসব পরীক্ষা তারা চায়, তা এখনো বাংলাদেশে সম্ভব না। তবে এই বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

এদিকে রপ্তানিকারকেরা বলছেন, বর্তমান সরকার খুবই কৃষিবান্ধব। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, বিশ্ব বাজারের সাথে সরকারিভাবে যোগাযোগ বাড়ালে এই বন্দর দিয়ে উদ্বৃত্ত আলু বিদেশে রপ্তানি আরো গতিশীল হবে বলে আশাবাদী এসব রপ্তানীকারকরা।

বার্তাবাজার/ভিএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর