ভবানীগঞ্জ মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ভবানীগঞ্জ ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওই মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইব্রাহীম শামিমকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে বেশ কয়েকটি প্রতারণারও আশ্রয় নেন বলে অভিযোগ রয়েছে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ওই প্রতিষ্ঠানের রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রভাষক মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পর অধ্যক্ষ পদে ৮ জন আবেদন করেন। তন্মধ্যে গত ১৮ জুন ৫জন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। নিয়োগ বিধিতে বলা আছে ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ যারা আছেন তারাই কেবল অধ্যক্ষ পদে আবেদন করতে পারবেন। অথচ ওই প্রতিষ্ঠানের দুজন আরবী প্রভাষক সালেহ আহম্মদ ও শামছুল করিম অন্য মাদরাসার উপাধ্যক্ষ পরিচয় দিয়ে অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেন এবং সকল পরীক্ষায় অংশ নেন। আর এসব নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়োগ বোর্ডের কেউ তেমন কিছু না জানলেও সবই জানেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী। নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন চৌমুহনী এখলাসপুর ফাজিল মাদরাসার সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুন্নবী আরজু, বশিকপুর কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ।

তবে নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী বলেন, পরীক্ষায় অংশ নেয়া যে কোন একজন অফিস ম্যানেজ করে অন্যভাবে অধ্যক্ষ হতে চেয়েছেন। ডিসির হস্তক্ষেপে সেটা পারেনি। এছাড়াও এক প্রশ্নের জবাবে আলী আক্ষেপ করে বলেন, যে ভাইস প্রিন্সিপাল আবেদন করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলোনা একবারের জন্য, যে ভাইস প্রিন্সিপাল ইন্টারভিউতে যাবে সে ভাইস প্রিন্সিপাল প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করতে পারলোনা ??? এক পর্যায়ে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইনা বলে মোবাইল ফোন রেখে দেন।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে নীতিমালা ভঙ্গ করে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়রদের ডিঙ্গিয়ে নিজেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বনে যান মোহাম্মদ আলী।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর