ইউটিউব দেখে পিস্তল তৈরি করে প্রেমিকার বন্ধুকে গুলি

মানিকগঞ্জে শহরের বেউথা এলাকায় এহিয়া হোসেন মির্জা (১৬) নামের এক কিশোর গুলিতে আহত হয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে বেউথা হলি চাইল্ড স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত এহিয়া হোসেন মির্জা সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি গ্রামের মৃতঃ ইমরান হোসেন মির্জার ছেলে। সে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে এহিয়া মির্জার ছোট বোন শুভেচ্ছা মির্জা বলেন, আমার ভাই তারাবির নামাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সিমান্ত নামের এক ছেলে তাকে হলি চাইল্ড স্কুলের সামনে ডেকে নিয়ে যায়। এরপরে সেখানে কথাবার্তার এ সময় তার কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে আমার ভাইকে গুলি করে। আমার ভাই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দৌড়ে বাসায় এসে বলে সিমান্ত নামের এক ছেলে তাকে গুলি করেছে। এরপর আমার মা ও আমার বোন তাকে দ্রুত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, আমরা বাসায় ছিলাম হঠাৎ লোক জনের চিৎকার শুনে রাস্তায় বেড় হয়ে দেখতে পাই আমাদের পাশের বাড়ির একটি ছেলেকে গুলি বিদ্ধ অবস্থায় তার মা এবং বোন হাসপালে নেয়ার চেষ্টা করছে। পরবর্তীতে ছেলেটির কাছে শুনতে পাই বেয়ালিয়া এলাকার ফার্মেসি ব্যবসায়ী মোঃ মাসুদ হোসেনের ছেলে তৌফিকুর রহমান সিমান্ত নামের একটি ছেলে তাকে গুলি কের পালিয়ে গেছে। ঘটনার পরপর ই তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স নবীন মিয়া বলেন, আহত এহিয়ার ঘারে একটি গুলি সাদৃস্য বস্তু পাওয়া গেছে।উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনাটির পর পরেই মানিকগঞ্জ সদর পুলিশ সার্কেল ভাসকর সাহা পিপিএম এবং সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আকবর আলি খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার রহস্য উদ্ধাটন ও অভিযুক্ত সিমান্তকে আটকের জন্য দ্রুত অভিযান পরিচালনা করলে অভিযুক্ত সিমান্তর বাড়ী থেকে একটি বন্দুক সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেন। এরপর সদর উপজেলার নবগ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাত ১ টার দিকে অভিযুক্ত সিমান্তকে আটক করা হয়।

ঘটনার ব্যপারে অভিযুক্ত সিমান্ত প্রাথমিক ভাবে ঘটনার দায় স্বীকার করে বলেন, আমার প্রেমিকার কাছে এহিয়া হোসেন মির্জা মাঝে মাঝেই আমার নামে খারাপ খারাপ কথা বলত। তার এসকল কথার কারনে আমাদের মাঝে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। রাগের মাথায় আমি সিদ্ধান্ত নেই এহিয়াকে ভয় দেখাব আর তাই ইউটিউব দেখে নিজেই ঘরে বসে বন্দুক তৈরি করি। এহিয়া কে ভয় দেখানোর এক পর্যা্য়ে আমার হাত বন্দুকের ট্রিগারে চাপ লাগলে সীসা দিয়ে তৈরি একটি গুলি তার শরীরে লাগে।

মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আকবর আলী খান জানান- আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার নামে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর