এখনো জানা যায়নি সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের কারণ

সুন্দরবনে গত সোমবার লাগা আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও দোষীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। ম্যানগ্রোভ বনটিতে প্রায়ই আগুন লাগার কারণ খুঁজে বের করা এবং সমস্যা সমাধানে বনের ওপর নির্ভরশীল বনজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কথা ভাবছে বনবিভাগ। এর মাধ্যমে আগুনে বনের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।

গত সোমবার, সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের ২৪ নম্বর কম্পাটমেন্টের দাসের ভারানী টহল ফাঁড়ির সংলগ্ন বনে আগুন লাগে।

বনবিভাগ ও দমকল বাহিনীর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও থেমে থেমে জ্বলতে থাকে বন। এই আগুনে বনের বৃক্ষ লতাপতাসহ কীট পতঙ্গ পুড়ে যায়।

খুলনা বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক মঈনুদ্দিন খান বলেন, বনজীবীদের দ্বারাই এসব আগুন লেগে থাকে। বনে মোয়াল, জেলেরা যায় অনেক সময় তাদের মাধ্যমেই এমন ঘটনা ঘটে থাকে।

সুন্দরবনের আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে তিন বন কর্মকতাকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বনকর্মকতা মোহম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, এক দশমিক তিন একর এলাকা জুড়ে আগুনটি ছিল। কি কারণে আগুনটি লেগেছে তা অনুসন্ধান করার জন্য আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তারা অনুসন্ধান করেই কারণটি বের করবে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠির বিকল্প কর্মসংস্থানে জোর দেয়া হচ্ছে। সুন্দরবনের এই অংশে মাঝে মাঝেই আগুন লাগে। এতে নষ্ট হচ্ছে জীব বৈচিত্র।

বার্তাবাজার/ই.এইচ.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর