পৃথিবীতে প্রতিটা মায়ের অবদান, অতল মহাসাগর সমান
‘মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে’ মায়ের মুখে চাঁদের মত হাসি দেখতে ভাল লাগে পৃথিবীর সকল সন্তানের। মা শব্দটির সাথে প্রতিটা মানুষেরই জড়িয়ে আছে অনেক আবেগ আর ভালোবাসা। জন্মের পর প্রথম শব্দটি শেখা হয় মায়ের মুখ থেকেই। আর সেটিও হয় ‘মা’কে ডেকেই।
প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার সারাবিশ্বে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মা দিবস। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসার জন্য কোনো আলাদা দিন, ক্ষণের প্রয়োজন না। তবুও বিশ্বব্যাপী আজকের দিনটি পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস হিসেবে। শুধু মা-কে শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই এই দিবসটি ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রাচীন গ্রিসে বিশ্ব মা দিবসের পালন করা হতো। তবে আধুনিক কালে এই দিবসটির প্রবর্তন করেন অ্যানা জার্ভিস নামে এক মার্কিন নারী। ১৯১৪ সালে মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম দিবসটি স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এ দিনটি পালন করা হয়।
একটি গোষ্ঠীর মতে এই দিনটির সূত্রপাত প্রাচীন গ্রীসের মাতৃ আরাধনার প্রথা থেকে যেখানে গ্রিক দেবতাদের মধ্যে এক বিশিষ্ট দেবী সিবেল-এর উদ্দেশ্যে পালন করা হত একটি উৎসব। এশিয়া মাইনরে মহাবিষুব -এর সময়ে এবং তারপর রোমে আইডিস অফ মার্চ (১৫ই মার্চ) থেকে ১৮ই মার্চের মধ্যে এই উৎসবটি পালিত হত।
১৯১২ সালে আনা জার্ভিস স্থাপন করেন মাদার’স ডে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোশিয়েশন্ (আন্তর্জাতিক মা দিবস সমিতি) এবং “মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার” আর “মা দিবস” এইসব শব্দবন্ধের বহুল প্রচার করেন। বর্তমানে সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও এ দিনটি উদযাপন করা হয়।
বার্তা বাজার/এসজে