গোয়ালন্দে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকের মামলা দায়ের, গ্রেফতার -১

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন যুগান্তরের গোয়ালন্দ প্রতিনিধি ও গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ।

পুলিশ মঙ্গলবার দিনগত রাত ১১ টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে এ মামলার ১ নং আসামি সুজন খন্দকার ওরফে ডেসটিনি ইউসুফকে (৩০) গ্রেফতার করে। সে উপজেলার দৌলতদিয়া শাহাদাৎ মেম্বার পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলী খোন্দকারের ছেলে। সেইসাথে তিনি দৌলতদিয়া থেকে পরিচালিত ফেসবুক ও ইউটিউব নির্ভর “জনতার বিবেক টিভি’র ” চেয়ারম্যান ও নিজস্ব প্রতিনিধি।পাশাপাশি তিনি
দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর একজন চিহ্নিত বাড়ীওয়ালা ও দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার একজন চিহ্নিত পরিবহন দালাল।এ সংক্রান্ত তিনি বেশ কয়েকটি মামলার আসামি এবং জেল খাটারও নজির রয়েছে।

এ মামলার অপর আসামি চ্যানেলটির প্রধান সম্পাদক মেহেদুল হাসান আক্কাছ (৫০)। তিনি গোয়ালন্দ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল ওলিমদ্দিন পাড়ার মৃত কচমদ আলী সরদার ওরফে কোমেদ আলী সরদারের ছেলে।

আসামীগন সরকারী নীতিমালা লংঘন করে পরস্পরের যোগসাজশে অবৈধ, অনুনমেদিত ও ভুঁইফোড় ওই টিভি’র বিভিন্ন পদ-পদবী ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অসৎ উদ্দেশ্যে এবং অবৈধ লাভের বশবর্তী হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানারুপ অপপ্রচার এবং ক্ষেত্র বিশেষে তৈলবাজির মাধ্যমে অবৈধ সুবিধা গ্রহন করে আসছে বলে নানা অভিযোগ রয়েছে।

মামলার এজাহারে প্রকাশ,গত ১৭/০৪/২০২১ তারিখ যুগান্তরে “গোয়ালন্দে শতাধিক নারীর কার্ড জব্দের অভিযোগ,খাদ্য সহায়তার নামে ইউপি চেয়ারম্যানের কারসাজি” শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

আসামীগণ পরস্পর যোগসাজশে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট দৈনিক যুগান্তরের তথ্যবহুল ওই সংবাদটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল হিসেবে ১৯-৪-২০২১ তারিখ বিতর্কিত ওই ইউপি চেয়ারম্যানের উন্নয়নমুখী কর্মকান্ড প্রচারণার অজুহাতে একটি প্রতিবেদন ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার করে। প্রতিবেদনের একটি অংশজুড়ে তারা যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদটিকে মিথ্যা বলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে। সেইসাথে প্রতিবেদনে যুগান্তর প্রতিনিধি শামীম শেখের ছবি বারবার প্রদর্শন ও উৎকোচ গ্রহনের মিথ্যা প্রচারনার মাধ্যমে তাকে সামাজিকভাবে অপমান,অপদস্থ ও হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালায়। এতে করে গোয়ালন্দ উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগনের মধ্যে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ ও উত্তেজনাকর পরিস্হিতির সৃষ্টি হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটারও উপক্রম হয়।

এ অবস্থায় গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা গত ১ মে শনিবার রাতে এক জরুরী সভার মাধ্যমে কথিত জনতার বিবেক টিভি’র অপ-সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং আইনী প্রক্রিয়ায় তাদেরকে মোকাবিলার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ মে সোমবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০১৮ সালের ২৫/২৯/৩১ ধারায় ওই মামলাটি দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, ধৃত আসামী সুজন খন্দকারকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মেহেদী হাসান রাজু/বার্তাবাজার/ভিএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর