সিংড়ায় কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু
নাটোরের সিংড়ায় নুসরাত জাহান তৃপ্তি নামে এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে উপজেলার ছোট চৌগ্রাম গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তৃপ্তি সিংড়ার গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
তৃপ্তির বাবা-মায়ের দাবি তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ তৃপ্তির বাবা-মা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
এদিকে পুলিশ তৃপ্তির বাড়ি থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে যেখানে তৃপ্তি তার মৃত্যুর জন্য বড় বোনের স্বামীকে দায়ী করেছেন।
এদিকে পুলিশ তৃপ্তির বাড়ি থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে যেখানে তৃপ্তি তার মৃত্যুর জন্য বড় বোনের স্বামীকে দায়ী করেছেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর-এ-আলম সিদ্দিকী জানান, উপবৃত্তির টাকা পরিবারের কাজে খরচ করা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই তৃপ্তির সঙ্গে তার বাবা আব্দুল আওয়ালের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
বুধবার সকালে আবার বাবা-মেয়ের মাঝে ঝগড়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর তৃপ্তি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহতা করেছে বলে চিৎকার করতে থাকেন তৃপ্তির বাবা-মা।
তবে তৃপ্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে এলাকাবাসী তার বাবা ও মাকে অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তৃপ্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ও বাবা- মাকে তাদের হেফাজতে নেয়। তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আকতার বার্তাবাজারকে জানান, নুসরাত জাহান তৃপ্তির মৃত্যুর ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তৃপ্তির ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডায়েরিতে তৃপ্তি নিজের মৃত্যুর জন্য তার বড় বোনের স্বামী জুয়েল হোসেনকে দায়ী করেছেন। বিভিন্ন সময়ে জুয়েল তাকে যৌন হয়রানি করতেন বলে তাতে উল্লেখ করেন তৃপ্তি। সেই সঙ্গে বাবা-মায়ের বৈরী আচরণের কথাও লিখেছেন।
ডায়েরি পাওয়ার পরপরই পুলিশ সিংড়া পৌর এলাকার মাদারীপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে জুয়েল হোসেনকে আটক করে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তৃপ্তির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
রবিন খান/বার্তাবাজার/ভিএস