আজ জাম্বুর মৃত্যুবার্ষিকী, মনে রাখেনি কেউ
বাংলা চলচ্চিত্রের মাথা ন্যাড়া ও স্থুল দেহের অধিকারী অভিনেতা জাম্বুর মৃত্যুবার্ষিকী ৩ মে। সাদাকালো থেকে রঙিন, দুই যুগেই অভিনয় করে গেছেন সমান দাপটে। অভিনয় নৈপুণ্যে স্থান দখল করেছেন দর্শকদের মনে।
জাম্বুর আসল নাম সুখলাল বাবু। ঢাকার হাজারিবাগের একটি কলোনিতে জন্ম নেওয়া এই অভিনেতা বাবুল গোমেজ পরিচয়ে নাম লেখান এফডিসিতে। পরবর্তীতে পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু তার নাম পাল্টে রাখেন জাম্বু।
২০০৪ সালের আজকের এই দিনে ইহলোক ত্যাগ করা এই অভিনেতার কথা কেউ মনে রাখনি। আজও তার মৃত্যুবার্ষিকী সবার অজান্তের চলে গেলো। শুধু মাত্র চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ফেসবুক গ্রুপগুলোতে করা হয় তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ। কিন্তু সিনেমা সংশ্লিষ্টদের কোনো আয়োজন চোখে পড়ে না।
অথচ জাম্বু ছিলেন এক সময়ের পর্দা কাঁপানো অভিনেতা। খল নায়কের সহকারী হিসেবে অভিনয় করলেও অভিনয় দক্ষতায় কোনো অংশে কম ছিলেন না তিনি। পর্দায় তার অভিনয় ফুটে উঠত নায়ক জসিমের সঙ্গে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাম্বুর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। ছোট ছেলে সাম্বু কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। এখন যাত্রা করেন।
এক সাক্ষাৎকারে সাম্বু জানিয়েছিলেন, তার বাবাকে স্মরণ করতে এফসিডিতে কেউ নেই। পরিবারেও তাকে সেভাবে স্মরণ করা হয় না।
জাম্বু অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে-‘সাগর ভাসা’, ‘শীষনাগ’, ‘নির্দোষ’, ‘মোহাম্মদ আলী’, ‘ধর্ম আমার মা’, ‘ডাকাত’, ‘নবাব’, ‘রাস্তা’, ‘রাস্তার রাজা’, ‘রকি’, ‘আত্মরক্ষা’, ‘পরিবার’, ‘সন্ত্রাস’, ‘অতিক্রম’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘টাইগার’, ‘বনের রাজা টারজান’, ‘হিরো’, ‘চাকর’, ‘ববি’, ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’, ‘দায়ী কে’, ‘মিস লংকা’ ইত্যাদি।
বার্তা বাজার/এসজে