সিরিজ হারের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৪৩৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। চলতি সিরিজে দারুণ ফর্মে ছিলেন তামিম ইকবাল। ৯০, ৯২ রানের ইনিংসের পাশাপাশি একটি ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস ছিল।

তবে দ্বিতীয় ইনিংসে পারলেন না তামিম। ২৬ বলে ২৪ রান করে রমেশ মেন্ডিসের বলে উইকেটের পেছনে নিরোশান ডিকভেলার হাতে ধরা পড়েন তামিম। তার ইনিংসটি ৩ চার ও ১ ছয়ে সাজানো ছিল।

তামিমের বিদায়ের পর ফিরেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান। প্রবীন জয়বিক্রমার বলে বাজে শটে সাঝঘরে ফিরতে হয় তাকে। সুরাঙ্গা লাকমলের হাতে ধরা পড়ে ফিরেন তিনি। ৪৬ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রান করেন সাইফ।

দুই ওপেনার ফেরার পর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। কিন্তু বড় জুটি গড়তে ব্যর্থ হন তারা। ২৬ রান করে জয়বিক্রমার বলে বোল্ড হয়ে শান্ত ফিরলে তাদের জুটি ভাঙে।

শান্তর বিদায়ের পর মুশফিক-মুমিনুলের ব্যাটে আশা দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তারাও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন। শান্তর মত বোল্ড হয়ে ফিরেন মুমিনুল। রমেশ মেন্ডিসের বলে বোল্ড হয়ে সাঝঘরে ফিরেন মুমিনুল। তিনি ৪ চারে ৩২ রান করেন।

অন্যদিকে ব্যক্তিগত ৪০ রানে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ধরা পড়ে মেন্ডিসের তৃতীয় শিকার হন মুশফিক। ৫ চারে সাজানো ছিল তার এই ইনিংস। ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরার দায়িত্ব নেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

মেন্ডিসের একটি বল মিরাজের প্যাডে লেগে শর্ট লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডার তা তালুবন্দি করেন। লঙ্কানদের জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মিরাজ। রিভিউতে দেখা যায় বল ব্যাট স্পর্শ করেনি এমনকি স্টাম্পও মিস করে।

এরপর ম্যাচটি আলোকস্বল্পতার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত আম্পায়াররা চতুর্থ দিনের খেলা সমাপ্তির সিদ্ধান্ত নেয়। শেষ দিন জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬০ রান। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৫ উইকেট।

এতে শেষ দিন হারের শঙ্কায় থাকবে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে বাংলাদেশ হারলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতবে লঙ্কানরা।

বার্তাবাজার/নব

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর