শেরপুরে প্রচন্ড তাপদাহ ও গরমে অতিষ্ঠ মানুষ

তারিকুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি: প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। চারিদিকেই হাসফাস অবস্থা। কোথাও যেন স্বাভাবিক অবস্থা নেই। আষাঢ় মাসে তাপমাত্রা কম থাকার কথা থাকলেও দিনদিন তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে এই ঋতুতে প্রচন্ড তাপদাহ ও গরমে শেরপুর জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও চারিদিকে দেখা দিয়েছে গরমজনিত রোগ।

এদিকে প্রচন্ড গরমে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজন। তারা ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্ট করছে। গরমের কারনে শিক্ষার্থীরা ঠিক মতো লেখাপড়া করতে পারছেনা। প্রচন্ড গরমের কারনে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পড়াশুনা করতে পারছেনা। ভুক্তভোগীরা জানান, দিনের বেলা তীব্র গরমের কারনে কষ্ট করলেও রাতের বেলা একটু শান্তি ঘুমাতে পারিনা।

সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের রিক্সাচালক আলাল মিয়া বলেন, প্রচন্ড গরমের কারনে আমরা ঠিকমতো রিক্সা চালাতে পারছিনা। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্ট করছি। জি.কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র মাইম হোসেন শুভ বলেন, মর্নিং শিফটে আমার ক্লাস। সকাল ৮ টার পরেই তীব্র রোদে আমরা ঠিকভাবে ক্লাশ করতে পারছিনা। প্রচন্ড গরমে রাস্তা দিয়ে হেটে বাসায় আসা-যাওয়া করতে কষ্ট হয়।
এই গরমের কারণে বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। আর স্কুল থেকে এই গরমে বাসায় যাওয়ার পর তারা খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কারণ তারা তো তীব্র রোদে স্কুলে ছুটাছুটি, খেলাধুলা করে থাকে। পেশাজীবী হামিদুর রহমান বলেন আমার বাচ্চারতো কয়েকদিন ঘাঁমাছি ও গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছেন দিনে কয়েকবার গা মুছিয়ে দিতে ও কম ঘামার চেষ্টা করাতে। কিন্তু বাচ্চাদের ছোটাছুটি থামিয়ে রাখবেন কীভাবে?

এ ব্যাপারে ডাঃ মোহাম্মদ নাদিম হাসান বলেন, রোদের তাপ খুবই তীব্র। এজন্য সকলকে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে বেশি। তিনি রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত না পান করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, গরমের কারনে জ্বর বা অন্য কোনো রোগের লক্ষণ দেখা দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর