তেঁতুলিয়ায় প্রচন্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ট

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় প্রচন্ড গরমে অস্তির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। সেই সাথে গ্রামে-শহরে জীবন যাত্রা ও স্বাভাবিক জনজীবন অস্তির হয়ে পড়েছে। একটু স্বস্তির আশায় চারপাশে ছুটছে মানুষ। দিনের বেলা প্রচন্ড রোদ্র তাপ আর সন্ধ্যার পর ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে মানুষের জীবন যাত্রা নার্ভিশ্বাস হয়ে পড়েছে।শুধুই শরীর থেকে ঘামই নয়, অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু-কিশোর অার বয়স্ক মানুষ। পানির তৃষ্ণা যেন কিছুতেই মিটছে না। এ দিকে রমজান মাসে রোজাদার ব্যক্তিরা এই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।পানির তৃষ্ণা লাগলেও যেন কিছুতে খায়তে পারতেছেনা।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,খড়া রোদ্র-তৃপ্ত তাপ বাতাসে যেন আগুনের শিখা গ্রাস করছে সমস্ত এলাকায়। এর সঙ্গে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে লোড শেডিং। গত এক সপ্তাহের ধরে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে মানুষের জীবন-জীবিকা। কোথাও একটু স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে পারছেনা সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ।এ যেন প্রচন্ড রোদ্র-তাপ অার গরমের সাথে যুদ্ধ করে মানুষের বেচেঁ থাকা।বিশেষ করে, রিক্সা ভ্যান ও খেটে খাওয়া শ্রমিকরা ঠিকমত কাজ করতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।বৈশাখের তাপদাহ শুরু থেকেই থাকার কারণে গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণ একটু বৃৃষ্টির জন্য আকুল আবেদন করছেন আল্লাহ কাছে। কালদাস পাড়া গ্রামের মো.তাহিরুল ইসলাম জানান, এই প্রচন্ড রোদ্রে মাঠে কাজ করা অসম্ভব হয়ে দারিয়েছে। রমজান মাসে রোজা রেখে দুপুরে প্রচন্ড তাপে যেন অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে জীবন, মোটেই কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশ থেকে তৃষ্ণা মিটানো বিভিন্ন মৌসুমী ফল ও বিভিন্ন নামী-দামী কোম্পানীর কোমল পানীয় পান করতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু রমজান মাসে রোজা থাকায় তাও হচ্ছে না।

বৈশাখ মাসের প্রখর রোদে সূর্য যার প্রচণ্ড তাপে শরীর থেকে ঝরছে ঘাম।অসহনীয় তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই সাধারন মানুষের , রোজগারের আশায় ঘর থেকে বের হওয়া এসব মানুষেরা যেন ফুট পাত থেকে অাজে বাজে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকেন, এমন বলেন চিকিৎসকরা। প্রচন্ড গরমে সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। তবে গরমে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিলেন এই চিকিৎসক। তিনি আরো বলেন, এই গরমে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত।কিন্তু রমজান হওয়ায় ইফতারে পরে স্যালাইন খাওয়াটা উত্তম।

এই গরমে শরীর থেকে ঘামে প্রচুর পরিমাণে লবণাক্ত পানি বের হয়। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, বাতাসে রোদ্রের আর্দ্রতা অনেক বেশি হওয়ায় গরমের অনুভূতি অনেক বেশি।তবে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকলে গরমের অনুভূতি কিছুটা কম হতো।

বার্তাবাজার/ভিএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর