বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনায় শেষ হলো উপজেলা নির্বাচন

নিউজ ডেস্কঃ শেষ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পাঁচজন আহত হয়েছে। আর অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন করেন গাজীপুর সদরের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। একই সঙ্গে ভোট স্থগিতের দাবি তোলেন রাজবাড়ির কালুখালী উপজেলার আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মতিন চৌধুরী ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শহীদুল্লাহ সবুজে সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পাঁচজন আহত হয়েছেন।

শেষ ধাপে গাজীপুর সদরে ৫০টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই ভোট হয় ইভিএমে। এদিকে, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইজাদুর রহমান মিলন।

এছাড়া, সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় রাজবাড়ির কালুখালী উপজেলায় ভোট স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম।

মাদারীপুর সদর উপজেলায় একটি কেন্দ্রে জালভোট দেয়ার অভিযোগে মাসুম নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া, সংবাদ সংগ্রহের অনুমতি না নিয়ে নাটোরের পূর্বধলার একটি ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করায় বিডি টোয়েন্টি ফোর ডট কমের এক সাংবাদিককে আটক করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে, নোয়াখালী সদর উপজেলায় ১৩১টি কেন্দ্রে ইভিএম ভোট নেয়া হয়েছে। কোন রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়া ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা। সকাল থেকেই বৃষ্টি থাকায় ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।

এছাড়া, খুলনার ডুমুরিয়া, নেত্রোকাণার পূর্বধলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, বরগুনার তালতলী, নাটোরের নলডাঙ্গা, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জসহ ২০টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, পাঁচটি ধাপে বিভক্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হয় গত ১০ই মার্চ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর