মোস্তাফিজ রাকিব,ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় প্রশাসন ভবনের সম্মেলন-কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট প্রসেসিং সফট্ওয়্যার উদ্বোধন করেছেন।
রেজাল্ট প্রসেসিং সফট্ওয়্যার প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এবং বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দারের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী,এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান।অপর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ সেলিম তোহা।
এছাড়া অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতিগণ, অফিস প্রধানগণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন,যেখানে যত বেশি কাগজনির্ভরতা সেখানে তত বেশি দুর্নীতির সুযোগ থাকে।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় একদিন বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো কাগজবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে।তিনি বলেন, আমরা এখন আন্তর্জাতিকীকরণের পথে রয়েছি এবং রেজাল্ট প্রসেসিং সফট্ওয়্যার এই আন্তর্জাতিকীকরণের পথে একটি সিঁড়ি। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সফল করার অংশ হিসাবে আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক-প্রশাসনিক সকল ক্ষেত্র ডিজিটালাইজেশন করতে চাই।রেজাল্ট প্রসেসিং সফট্ওয়্যার তৈরির জন্য উপাচার্য রেজাল্ট প্রসেসিং সফট্ওয়্যার প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার এবং আইসিটি সেলের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের পথেই আমাদের যাত্রা করতে হবে। প্রযুক্তি ছাড়া আমাদের বিকল্প কোন পথ নেই।
বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটালাইজেশনের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো। সফট্ওয়্যারটি প্রস্তুতের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকে তিনি ধন্যবাদ জানান
উল্লেখ্য রেজাল্ট প্রসেসিং সফট্ওয়্যার প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক এবং বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দারের সফট্ওয়্যারটি কীভাবে কাজ করবে অনুষ্ঠানের শুরুতে তা তুলে ধরেন। তিনি জানান, সফট্ওয়্যারটি তৈরির ক্ষেত্রে নিরাপত্তার দিকটিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং এটি ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে। সফট্ওয়্যারটির ব্যবহার নিয়ে আগামীতে প্রশিক্ষণ কর্মশালারাও আয়োজন করা হবে বলে তিনি অবহিত করেন।