দশ বিশ্বকাপের ২৩তম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের জন্য ৩২২ রানের সংগ্রহ তাড়া করতে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৩৭ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭০ রান সংগ্রহ তখন বাংলাদশের।
৩৮ তম ওভারে বোলিং করতে আসেন গ্যাব্রিয়েল শ্যানন। ব্যাটসম্যান লিটন দাস তার একটু আগেই পূর্ণ করেছেন নিজের অর্ধশতক। বাংলাদেশের জয়ের জন্য তখনও প্রয়োজন ৭৮ বলে ৫২ রান।
শ্যানন ওভারের প্রথম বলটি করলেন। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে থাকা শর্ট বল লিটন চমৎকার ফুটওয়ার্কে জায়গা করে নিয়ে ব্যাট চালালেন। বলে চলে যায় ডিপ স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে সীমানার বাইরে। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যোগ হলো ৬টি রান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৭৭ বলে ৪৬ রান।
শ্যানন ওভারের দ্বিতীয় বলটিও করলেন। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের স্লটে থাকা বলে লিটন একটু জায়গা করে নিয়ে আবারও চালালেন ব্যাট। বল চলে যায় লং অফ অঞ্চল দিয়ে সীমানার বাইরে। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় আরও ৬টি রান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন তখন ৭৬ বলে ৪০ রান।
শ্যাননের তৃতীয় বলটি ছিল আরেকটি শর্ট বল। এবার লিটন খেললেন হুক শট। বল চলে যায় ফাইন লেগ অঞ্চলের উপর দিয়ে সীমানার বাইরে। আবারও বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৬টি রান। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৭৫ বলে ৩৪ রান।
শ্যাননের চতুর্থ বল থেকে এক রান সংগ্রহ করেন লিটন দাস এবং স্ট্রাইক দেন সাকিবকে। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২৮৯ রান।
শ্যাননের পঞ্চম বল সাকিবের ব্যাটের কিনারায় লেগে থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে সীমানা পার করে। সাকিবের সংগ্রহে যোগ হয় একটি বাউন্ডারি এবং বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২৯৩ রান।
শ্যাননের শেষ বলটি মিডঅফে পাঞ্চ করে সাকিব আরেকটি রান সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৮ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান। অর্থাৎ শ্যাননের করা এই ওভার থেকে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৬+৬+৬+১+৪+১=২৪ রান।
এটিই এবারের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের কোনো ওভারে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড। যে রেকর্ডে বোলারের খারাপ লাগলেও ব্যাটসম্যান হিসেবে লিটন এবং সাকিবের এই কীর্তি মূলত বাংলাদেশকে নিয়ে যায় জয়ের কাছাকাছি।