সিদ্ধান্তহীনতার কারণে পাকুন্দিয়ায় নষ্ট হচ্ছে রাস্তার দু’পাশে কোটি টাকার গাছ!

প্রায় দুই যুগ আগে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন এনজিও সংস্থা লক্ষাধিক ফলজ বনজ ও ঔষধি গাছ রোপন করেছিল কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী গাছ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ও রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজের কারণে বিলুপ্ত প্রায় ৯০ শতাংশ । বর্তমানে যে ১০% গাছ আছে তার প্রতিটি মূল্য ৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হবে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে পাকুন্দিয়া থেকে পুলেরঘাট এর রাস্তার বেশিরভাগ গাছ এখন মৃত।কিছু গাছ রাতের আধারে কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। আজলদি বাজার থেকে হোসেন্দী বাজার দিয়ে বাগানবাড়ি চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে এখনো জীবিত আছে অনেক গাছ। পাকুন্দিয়া থেকে হোসেনপুরের রাস্তার দুপাশের প্রায় শতভাগ গাছ গয়েব হয়ে গেছে।

তারাকান্দি বাজার থেকে হরশি বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে কিছু গাছ আছে, সে সব গাছ মরে গিয়ে রাস্তার উপর হেলে আছে যা রাস্তার পথচারী, যানবাহনসহ মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ। কোদালিয়া চৌরাস্তা বাজার থেকে পুলেরঘাট বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে গাছ বিলুপ্ত হচ্ছে রাতের আঁধারে। পাকুন্দিয়া থেকে মঠখোলা বাজার হয়ে থানারঘাট বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে গাছ বিলুপ্তপ্রায়।

থানারঘাট বাজার থেকে পাকুন্দিয়া টু কিশোরগঞ্জ রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজের কারণে রাস্তার দুই পাশে গাছ এখন আর চোখে পড়ে না। দিনে দুপুরে বিলুপ্ত হচ্ছে প্রায় সকল গাছ। এখনো যে গাছ গুলো আছে সেগুলোর বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা হবে।

স্থানীয়রা জানান, যে গাছগুলো লাগানো হয়েছিল তার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকার উপরে হত। বনবিভাগের উদাসীনতা, পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ৯০% গাছ। এখনো যে গাছ গুলো আছে তাহা বিক্রয় করলে সরকারি কোষাগারে মোটা অংকের টাকা জমা হবে। এখন গাছগুলি রাতের আধারে কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। শুকিয়ে যাওয়া গাছগুলো হচ্ছে লাকড়ি। রাস্তার উপরে মরা গাছগুলি মরণফাঁদ হিসেবে ঝুঁকে আছে। এখন গ্রীষ্মকাল হালকা বৃষ্টি ও বাতাসে ভেঙ্গে পড়ে গাছের ডালপালা গুলি রাস্তার উপর। যে কোন সময় প্রাণহানিসহ ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

ছবি- বার্তা বাজার

পরিবেশবাদীরা বলেন, রাস্তার দুই পাশে মরা গাছ গুলি অপসারণ করে নতুন গাছ রুপন করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও বনায়ন করা সম্ভব ।

পাকুন্দিয়া বনবিভাগের কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বারি বার্তা বাজারকে বলেন, গাছগুলি বিভিন্ন এনজিও সংস্থা রুপন করেছে বিধায় আমরা গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণে কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারিনা। পাকুন্দিয়া থেকে হোসেনপুর রাস্তার উন্নয়মূলক কাজের সময় ও বিভিন্ন সময়ে ভেঙ্গে পড়া কিছু গাছ উপজেলা বন বিভাগ সংরক্ষণ করে রেখেছে খুব শীঘ্রই নিলামে বিক্রয় করা হবে।

হুমায়ুন কবির/বার্তা বাজার/শাহরিয়া

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর