ব্যাংকার মোরশেদের আত্মহত্যা: প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে আসামিরা গ্রেফতার হবে

ব্যাংক আলফালাহর চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক আবদুল মোরশেদ চৌধুরীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করার মামলায় ১১ দিনেও কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি।

আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বিচার পাবেন কিনা সেটা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মামলার বাদি ও নিহত মোরশেদের স্ত্রী ইশরাত জাহান চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে নাজমুল হক চৌধুরী শারুনসহ যারা আমার স্বামী মোরশেদকে হুমকি ধামকি দিয়ে আত্মহত্যা করিয়েছেন সেটার বিচার আল্লাহর কাছেও দিয়েছি। দুনিয়ার বিচার পাওয়ার জন্য থানায় মামলা করেছি।’

রবিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল মোরশেদ চৌধুরীর আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারীদের মামলার বিষয়ে স্ত্রী ইশরাত জাহান গণমাধ্যকে এসব কথা বলেন। তাঁর আশা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে এলে আসামিরা গ্রেফতার হবে।

তিনি বলেন, মোরশেদকে রেডিসন ব্লুতে দেখা করতে যেতে বলেছিলেন শারুন। কিন্তু মোরশেদ রেডিসন ব্লুতে দেখা করতে যায়নি। পরে শারুন নিজে পার্কিং এলাকায় দু’টি গাড়ি নিয়ে ফিল্মি স্টাইলে বাসার নিচে এসেছিলেন।

শারুনের বিষয়ে ইশরাত জাহান চৌধুরী আরো বলেন, শারুনরা ভয় দেখিয়েছে মোরশেদকে। মোরশেদও ভয় পেয়েছে তাদের মোবাইল ফোন কলে। শারুনরা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে ভাড়াটিয়া হিসেবে অন্যজনের পক্ষ হয়ে মানুষকে হুমকি ধামকি দেওয়ার পর যেন আমার মতো আর কাউকে স্বামী হারাতে না হয়। কারো মেয়ের যেন আর বাবাকে হারাতে না হয়। সেদিকে দল ও প্রশাসনের লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানাই। আমি হারিয়েছি, আমার হারানোর আর কিছু নেই।

ইশরাত আরো বলেন, শারুনরা অনেক প্রভাবশালী ও টাকার মালিক। তাদের সারাদেশে নেটওয়ার্ক রয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি সৃষ্টিকর্তার উপর ছেড়ে দিয়েছি। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাসার বাইরে কম বের হতে বলা হয়েছে।

গত ৭ এপ্রিল ভোরে নগরের পাচঁলাইশ থানার মিমি সুপার মার্কেট সংলগ্ন হিলভিউ আবাসিক এলাকায় নাহার ভবনের ৬ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল মোরশেদ চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নগরের পূর্ব মাদারবাড়ীর বাসিন্দা আব্দুল মৌমিন চৌধুরীর ছেলে আব্দুল মোরশেদ চৌধুরী। ৮ এপ্রিল ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল মোরশেদ চৌধুরীর আত্মহত্যার ঘটনায় চারজনকে আসামি করে স্ত্রী ইশরাত জাহান বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মধ্যম হালিশর মাইজপাড়ার আলী সওদারগরের বাড়ির ইসহাক মিয়ার ছেলে জাবেদ ইকবাল ও পারভেজ ইকবাল, পাঁচলাইশ এমএম প্যালেসের সৈয়দ মো. আবু মহসিনের ছেলে নাইম উদ্দিন সাকিব ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল হক চৌধুরী রাসেলের নামে মামলা করলেও মোরশেদের স্ত্রীর অভিযোগ, এ ঘটনায় জড়িত জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর পুত্র শারুন চৌধুরী।

বার্তাবাজার/ভিএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর