রাজৈরে স্কুলছাত্রীকের ধর্ষণের অভিযোগ, দাবী সাজানো নাটক
মাদারীপুরের রাজৈরে চিরঞ্জিত মোড়ল (২৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
তবে ছেলের পরিবারের দাবী, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা সাজানো হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার পরিবার। শনিবার সকালে ওই শিক্ষার্থীর প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। বিকেলে তার পিতা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে রাজৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
নির্যাতিতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল রাজৈর উপজেলার আমগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কৌশলে ৭ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রতিবেশি কৃষ্ণ মোড়লের ছেলে চিরঞ্জিত। এরপরে তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।
সর্বশেষ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কিশোরীর মুখ ও হাত-পা বেঁধে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় চিরঞ্জিতসহ তার সহযোগিরা।
পরে গুরুতর অবস্থায় নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাত ২টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন।
শিক্ষার্থীর মা বলেন,‘আমার মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেছে চিরঞ্জিত। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে হত্যা করে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করেছিলো। এ ঘটনার কঠির বিচার চাই।’
চিরঞ্জিত মোড়লের মা নয়নতারা মোড়ল বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনাটি সাজানো নাটক। মূলত ওই মেয়ের পরিবারের সাথে জমিজমা নিয়ে আমাদের বিরোধ চলছে। ১৫দিন আগে জমি সংক্রান্ত মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসে। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে মেয়েকে দিয়ে ধর্ষণের নাটক করেছে।
মেয়েটি শুক্রবার রাত প্রায় ৮টার দিকে আমাদের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। আমরা তাকে ঘরে ঢুকতে দেই নাই। পরে সে পার্শ্ববর্তী পুকুরপাড়ে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে তার বাবা-কাকা এসে বাড়িতে নিয়ে যায়।’
সদর হসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষার্থীর প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, ওই শিক্ষার্থীর পিতা অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এর আগে শিক্ষার্থী নিখোঁজ হবার পর পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে।
আকাশ আহম্মেদ/বার্তাবাজার/ই.এইচ.এম