কিশোরগঞ্জে একদিনে নিহত ৮

কিশোরগঞ্জ জেলায় মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুর্ঘটনা ও হত্যাকাণ্ডে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মাঝে মাঝে ভৈরব উপজেলাতেই খুন হয়েছেন ৪ জন। এছাড়া তাড়াইল উপজেলায় এক শিশু ও কুলিয়ারচরে এক বিভাটেক চালককে হত্যা করা হয়েছে। বাকি দু’জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদরে এক নির্মাণ শ্রমিক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ও পাকুন্দিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চাপায় এক শিশু মারা যায়।

জানা যায়, ভৈরবে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ফারুক খান (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হন। আশুগঞ্জ থেকে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর ভৈরব প্রান্তে তিনি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন।

তখন ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ফারুক খানের বাড়ি পৌর এলাকার চন্ডিবর এলাকায়। তার বাবার নাম মো. সালাম খান।

এছাড়া, শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাতে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর শনিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কালিকাপ্রাসাদের গাজীরটেক এলাকা থেকে শরীফ নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শরীফ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে। সে ভৈরব পৌর শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকত।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দফা সংর্ঘষে একই গোত্রের দু’জন নিহত হওয়া ছাড়াও দুই পক্ষেরই অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এ সময় শতাধিক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুট করা হয়।

এর মধ্যে সকাল ৯টার দিকে লুন্দিয়া গ্রামের শেখ বাড়ির সাথে লুন্দিয়া সিকদার বাড়ির মাজু মেম্বার গ্রুপের সংর্ঘষ হয়। এতে নিহত হয়েছেন মৃত শেখ মোতালিব মিয়ার ছেলে শেখ মকবুল।

অপরদিকে বেলা ১২টার দিকে লুন্দিয়া শেখ বাড়ির সাথে পাগলার বাড়ির সংর্ঘষ হয়। এতে নিহত হয়েছে শেখ খালেক মিয়ার ছেলে শেখ পাবেল।

ছোট বাচ্চাদের আম পাড়াকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৭ এপ্রিল) ফজরের নামাজের পর কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের মধ্য লালপুর ও ভৈরব উপজেলার মিরারচর উত্তর পাড়া ওমরা বাড়ি এই দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলায় বিভাটেক চালক লিটন মিয়া নৃশংসভাবে খুন হন। এছাড়া নিহতের বড় ছেলে মো. রাকিব (২০) সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত এবং উভয়পক্ষের অন্তত ২০টি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এদিকে শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ শহরে বাইসাইকেল যোগে কাজ করতে যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মো. বাচ্চু মিয়া (৬৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

একইদিন সকালে পাকুন্দিয়ায় বাড়ির পাশের সামনের রাস্তায় সবজি ভর্তি এক অটোরিকশা চাপায় রিয়া মণি (৬) নামে এক শিশু নিহত হয়।

তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের চরতালজাঙ্গা বাদুরতলা গ্রামে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাতের খাবার খেয়ে বাইরে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় একই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে শিশু রিফাত। শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাটক্ষেত শিশু রিফাতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। সূত্র- কিশোরগঞ্জ নিউজ।

বার্তা বাজার।এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর