পাটকেলঘাটায় লকডাউনে কঠোর প্রশাসন, নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে

সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটার খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের এ লকডাউনে যেন বিপদের অন্ত নেই। এ এলাকার মানুষের এখন প্রধান আয়ের উৎস্য মাঠের পাঁকা ধান কাঁটা।

এদিকে এ বাজার ঘিরে যে সব জনবসতি গড়ে উঠেছে তাঁদের পণ্য ক্রয় ও বিক্রয়ের ২ টি দিন নির্ধারণ করা। যাকে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় হাটবার। সে হিসাবে বুধ ও শনিবার এখানকার হাটবার। চলছে লকডাউন। প্রশাসন তৎপর বাস্তবায়নে। বিকাল ৩ টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করার নিয়মে যেন আয় করেও খেতে পারছে না এ এলাকার ভুক্তভোগী মানুষগুলো। সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত কাজের প্রথম সময় ৩৫০ টাকা মজুরী। আর বিকাল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যস্ত দ্বিতীয় কাজের সময় ১৫০ টাকা মজুরী। তাই মজুরী একবেলা খেঁটে পরিবার না চলায় একটানা দুপুর ৩ টা পর্যস্ত কাজ করে মজুরীর টাকা নিয়ে রমজানের বাজার করতে এসে সকলের যেন চোঁখ চড়কগাছ। কাজ শেষ করে এসে দেখা যাচ্ছে লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন সকল বাজারের পসরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে।

আজ শনিবার দুপুর ৩ টা ৩০ মিনিটের দিকে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি মুরগীর দোকান থেকে মুরগীর মাংস ক্রয় করছিলেন। এসময় তালা-পাটকেলঘাটা সার্কেলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার ও সঙ্গীও ফোর্স তখন সাধারণের চলাচলে বাঁধা প্রদান সহ ক্ষমতার অপব্যবহারে ব্যস্ত ছিলেন। এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্ধী করার চেষ্টা করলে সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের ব্যবহৃত ফোনটি ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে সাংবাদিকসহ স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন।

এছাড়া অনেক কাঁচামালের দোকানের পণ্য ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মীর খায়রুল আলম/বার্তাবাজার/ভিএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর