কুষ্টিয়ায় ভিক্ষুককে পিটিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জায়গা-জমির জের ধরে আবুহার মল্লিক নামের ৮০ বছর বয়সের এক ভিক্ষুককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার সদকী ইউনিয়নের নন্দীগ্রামে ঘটেছে।

নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মৃত ফকির মল্লিকের ছেলে। তিনি এলাকায় বিভিন্ন মানুষের দ্বারেদ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আবুহার মল্লিক নিজ ঘরের পাশে ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করতেছিল। এসময় দরবেশপুর গ্রামের মৃত ডিলার সামছুদ্দিনের ছেলে সোহেল প্রামাণিক , মৃত আলিফার ছেলে কামাল প্রামাণিক, বাহাদুরের ছেলে রাসেল, আলতাফের ছেলে আলামিন সহ আরো ৪ থেকে ৫ জন জমির উপর এসে আবুহার মল্লিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে পেটের উপর বসে কিল, ঘুষি, লাথি মারে এবং গলা চেপে ধরে গুরুতর আহত অবস্থায় রেখে দ্রুত চলে যায়।

এরপর স্বজনরা উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দেন এবং হাসপাতালে দুইদিন ভর্তির পর আজ (১৫ এপ্রিল) সকালে রিলিজ নিয়ে বাড়িতে আসতে না আসতেই তিনি মারা যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী বলেন, সোহেল প্রামাণিক সমাজের প্রভাবশালী। পুলিশ ও বড় বড় নেতাদের নিয়ে চলে। সোহেলের একটা গ্যাং আছে। সব সময় গরীব মানুষের অত্যাচার করে ভয়ে কেউ কিছু বলেনা। সেদিন দুপুরে এসে সোহেল প্রথমে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর সবাই মিলে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে আহত করে চলে যায়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত সোহেল প্রামাণিক মুঠোফোনে বলেন, স্কুলের জমি নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে মারামারি হচ্ছিল। খবর পেয়ে মারামারি শেষে সেখানে গিয়েছিলাম। আমি মারিনি।

তিনি আরো বলেন, এলাকায় গ্রুপিং এর কারনে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, শুনেছি জমি সংক্রান্ত জেরে কিল, ঘুষি খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আবুহার মল্লিক। আজ সকালে রিলিজ নিয়ে বাড়িয়ে গিয়ে তিনি মারা যান।

তিনি আরো বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া মর্গে পাঠানো হয়েছে।

টুটুল/বার্তাবাজার/ই.এইচ.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর