মুভমেন্ট পাস ছাড়াই রাস্তায় লোকজন, অনেকে জানানে এটা কি!

চলমান কঠোর লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে চলাচল করতে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে মুভমেন্ট পাস। এ সম্পর্কে একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধনের পর থেকেই আবেদনের হিড়িক পড়ে যায় সেটায়। মানুষের আবেদনের চাপে এক পর্যায়ে সার্ভার জটিলতাও শুরু হয়।

তখন ধারণা করা হচ্ছিল, এত মানুষের যদি বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন হয়, আর এত মানুষ যদি মুভমেন্ট পাস নিয়ে বাইরে বের হয় তাহলে লকডাউন বাস্তবায়ন কিভাবে হবে? অনেকেই সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে মুভমেন্ট পাস নিয়ে বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হতে পারেন, এমন আশংকাও ছিল।কিন্তু বাস্তবিক দৃশ্যে এই অবস্থা আরও ভয়াবহ হলো।

লকডাউনের প্রথম দিনে অর্থাৎ বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরে দেখা যায় রাস্তায় চলাচলকারী অনেকের কাছেই নেই মুভমেন্ট পাস। ইত্তেফাক মোড়ের সামনেই গুলিস্তান এবং যাত্রাবাড়ি থেকে মতিঝিলগামী রাস্তায় বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা রিক্সা-মোটরসাইকেল-গাড়ি থামিয়ে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। অনেকেই দেখাতে পারছেন না মুভমেন্ট পাস।

এক মোটরসাইকেল চালক পাস না দেখাতে পারায় তার পথরোধ করে রাখে পুলিশ। পরবর্তীতে ঔষধ কিনতে যাচ্ছেন বলে অনুনয়-বিনয় করলে এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ওই একই চেকপোস্টে আটকানো হয় রিক্সাযাত্রী এক নারীকে। তিনিও মুভমেন্ট পাস দেখাতে পারেন নি। ফকিরাপুলে জরুরি কাজে ব্যাংকে যাচ্ছেন বলে তিনি যাওয়ার অনুমতি পান।

মতিঝিলে এবং আরামবাগে অনেক পথচারীর কাছে মুভপেন্ট পাস আছে কিনা জানতে চাইলে কারো কাছেই সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

ফকিরাপুলে পথচারী মোহাম্মদ রফিকের সাথে কথা হয়। কেন ঘর থেকে বের হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন, কতক্ষণ ঘরে থাকা যায়? মুভপেন্ট পাস আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, তিনি এরকম কোন কিছুর নাম শুনেন নি।

তবে মতিঝিলে দুপুর থেকে দায়িত্বপালনকারী ট্রাফিক পুলিশ সদস্য সুলতান বলেন, ‘লোকজন রাস্তাঘাটে প্রায় নেই বললেই চলে৷ মোটরসাইকেলেও একজনের বেশি যাত্রী চলাচল করছেন না। এত অল্পসংখ্যক মানুষের জন্য মুভমেন্ট পাস দেখার প্রয়োজন নেই’।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর