হুমকি দিয়ে রাতের আঁধারে গুড়িয়ে দেওয়া হল মসজিদের অযুখানা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে রাতের আঁধারে মসজিদের নির্মাণাধীন অযুখানা গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার কালীপুর পাক পাঞ্জাতন জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ১৯৯০ সালে কালীপুর গ্রামের খাদিজা বিবি নামে এক নারী মসজিদ নির্মাণের জন্য ৪ শতক জায়গা দান করেন। পরবর্তীতে সেখানে মজসিদ বর্ধিত করার জন্য তার দুই ছেলে শিব্বির আহমেদ সামছুদ্দীন ও বোরহান উদ্দিন এবং তিন মেয়ে মিলে আরো সাড়ে ৬ শতক জমি মসজিদের নামে দান করেন। দানকৃত জমিতেই নির্মাণ করা হয় মসজিদটি।

কিন্তু মসজিদের কোনো অযুখানা না থাকায় গত সপ্তাহে তা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট কমিটি। নির্মাণ কাজে বাধা দেন গত হওয়া খাদিজা বিবির বড় ছেলে আব্দুল হাই। মসজিদ কমিটি তার কথা গ্রাহ্য না করায় গত রোববার (১১ এপ্রিল) তিনি কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শোন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম। এবিষয়ে পরদিন সোমবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ থানার সামনে উভয় পক্ষকে নিয়ে এক সালিশ বৈঠকে বসেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বৈঠকে উভয় পক্ষের বক্তব্য চলাবস্থায় কালীপুর গ্রামের আছলম মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের অজুখানা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেন।

সালিশে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ায় সালিশ বৈঠক মুলতবি করে আগামী শুক্রবার মসজিদে পঞ্চায়েত কমিটি বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তার আগেই সোমবার গভীর রাতে মসজিদের অজুখানা ভেঙ্গে ফেলা হয়।

স্থানীয় মুসল্লি সহ মসজিদ কমিটির সভাপতি হারুন অর রশীদ এর অভিযোগ, রাতের আঁধারে হুমকি দাতা খোকন গংরা অজুখানা ভেঙ্গে ফেলেছেন। তবে অজুখানা ভাংচুরের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান অভিযুক্ত হাজী আব্দুল হাই।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কালীপুর পাকপাঞ্জতন জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হারুন অর রশীদ। অভিযোগে আছলম মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া ও হাজী মফিজ আলীর ছেলে আব্দুল হাইকে আসামী করা হয়েছে।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাতের আধারে কে বা কারা নির্মাণাধীন অজুখানার বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছে। কারা ভেঙেছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর