গোলাপগঞ্জে লকডাউনে ম্লান ১ম রমজান, পহেলা বৈশাখ

বছর ঘুরে আবারও এসেছে মুসলমানদের মুক্তির মাস পবিত্র রমজান। একই দিনে আরও একবার এলো পহেলা বৈশাখ। গত বছরও মানুষ ঘরে আবদ্ধ ছিল, এবারও বৈশাখ বরণে মেতে ওঠা হবে না। এবারের বৈশাখে নিশ্চয়ই বিশ্ব জুড়ে করোনার সংক্রমণের কারণে যে ‘লকডাউন’ চলছে তা থেকে মুক্ত হওয়ার আহ্বান ফুটে উঠবে সবার প্রার্থনায়।

প্রতিবছর রমজান আসলে মুসলমানদের ভিতর বাড়তি আনন্দ যোগ হয়। ইবাদত বন্দেগিতে ব্যস্ত থাকেন মানুষ। মসজিদে- মসজিদে, বাজারে-দোকানে মানুষের ভিড় থাকে চোখে পরার মত। পহেলা বৈশাখ আসলে বাঙালি নারীরা নতুন কাপড় পড়ে ঘুরতে বের হোন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। উপচে পরা ভিড় থাকতো বিনোদন কেন্দ্র গুলোতেও। গত বছরের ন্যায় এ বছরও করোনার কারণে লকডাউনে বন্ধ রয়েছে সবকিছু।

আজ বুধবার দেশ জুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। সিলেটের গোলাপগঞ্জেও তার ব্যতিক্রম নয়। পয়েন্টে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন না। আবার অনেকে বিনা প্রয়োজনে নানান অজুহাত দেখিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন কেমন চলছে লকডাউন সেটি দেখার জন্য।

গোলাপগঞ্জে রমজান মাসে দোকানে দোকানে তৈরি হতো নানান রকমের ইফতার সামগ্রী। দুপুর হলেই ভাল দোকান দেখে লাইন দরে থাকতেন মানুষ ইফতার সামগ্রী কিনার জন্য। কিন্তু এবছর একেবারেই সেটি নেই।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, একেবারে জনশূন্য রয়েছি সবকিছু। বাজারে-হাটে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।

শাহিন আহমদ নামের একজন বলেন, রমজান মাস আর পহেলা বৈশাখ লকডাউনের কারণে একেবারেই ম্লান। কোন আনন্দ নেই। সারাজীবন মনে থাকবে বিশেষ করে এ দিনটির কথা।

শফিক মিয়া বলেন, লকডাউন চলছে। বাইরে বের হতে পারব না। আমি ড্রাইভার মানুষ। পরিবার নিয়ে কি ভাবে থাকব চিন্তায় আছি।

প্রতিবছর রমজান আসলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে ইফতার সামগ্রী তৈরি করেন নিমার আলী। অনেকটা হতাশার সুরে বলেন, রমজান আসলে নানান রকমের ইফতার সামগ্রী তৈরি করতাম। দুপুর হলেই দোকানে মানুষের ভিড় জমতো। ভাল ব্যবসা হতো। কিন্তু এবার আর সেটি নেই।

এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন পালনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। কেউ বাইরে বের হলে পরতে হচ্ছে প্রশাসনের বাঁধার মুখে। তারা জানিয়েছেন, মানুষকে লকডাউন মানাতে শক্ত অবস্থানে থাকবেন তারা।

বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর