একেই বুঝি বলা হয়, রাখে আল্লাহ মারে কে?

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর চরের গহীন কাঁশবনে নিখোঁজের দুদিন পর জলিল মুন্সি (৯৪) নামে এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

জলিল মুন্সি চরভদ্রাসন উপজেলার বিএস ডাঙ্গী (হেলিপ্যাড) গ্রামের মৃত আহাম্মদ মুন্সির ছেলে।

শনিবার সকালে তিনি একাকী পদ্মা নদী পার হয়ে নিজের ফসলী মাঠে যাওয়ার পথে উপজেলা চরহরিরামপুর ইউনিয়নের চরশালেপুরের গহীন কাঁশবনের মধ্যে দিক হারিয়ে ফেলেন।

সারাদিন ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যা নেমে এলে বৃদ্ধ অচেতন অবস্থায় কাঁশবনের মধ্যে পরে থাকেন। এভাবেই কেটে যায় দুদিন দুরাত। অবশেষে গহীন কাঁশবন তল্লাশি করে নিখোঁজের স্বজনরা বৃদ্ধকে উদ্ধার করেছেন। তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন জানান, প্রচণ্ড গরমে কাঁশবনের মধ্যে দুই রাত দুই দিন অচেতন অবস্থায় থাকার ফলে বৃদ্ধর শারীরীক অবস্থা খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং তার শরীরে পোকা মাকড়ে কামরানোর ক্ষত রয়েছে।

হাসপতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধ জলিল মুন্সি জানান, গত দেড় বছর আগে একই কাঁশবনের মধ্যে আমার ছেলে হারুন মুন্সি (৫৫) সাপের কামড়ে মারা যায়। আল্লাহ অসীম রহমত দিয়ে আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, ‘রাখে আল্লাহ, মারে কে?’

ওই বৃদ্ধের ছেলে আবদুর রশিদ মুন্সি (৪৫) বলেন, আমার বাবা নিখোঁজের পর দিন রোববার ওই শালেপুর চরের গহীন কাঁশবনে তল্লাশি করতে থাকি। তল্লাশির এক পর্যায়ে সোমবার সকালে কাঁশবন থেকে বাবাকে উদ্ধার করি।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর