সাতক্ষীরায় ডাক্তারের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ

শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ২০১০ সালে আমার হাত ভেঙ্গে গেলে ডা. ইব্রাহিম খলিল চিকিৎসা করেন। এ সময় জোড়া লাগানোর জন্য ডাক্তার ব্যবহার করছিলেন নাট স্ক্রু। বেশ কিছুদিন পর নতুন করে সমস্যা দেখা দিলে আমি শরণাপন্ন হই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালর অর্থপডিক্স ডাক্তার হাফিজউল্লাহর।
২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর আমি আমার স্বামী মো. মোস্তাকিম, শ্বোশুর নঈম মোড়ল ও দুই চাচা শ্বোশুর আলিম সরদার ও বাবলা সরদারের সাথে ওই ডাক্তারের ক্লিনিক ট্রমা সেন্টারে ভর্তি হই।
সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের মো. মোস্তাকিমের স্ত্রী মিসেস লিপিয়া। তিনি বলেন, আমি ২০ হাজার টাকা চুক্তিতে চিকিৎসা গ্রহন করি। এ সময় ডাক্তার অপারেশন করে হাতের পুরনো নাট স্ক্রু খুলে ফেলার সময় কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। এ কারণে হাতে যন্ত্রণা হতে থাকে। বিষয়টি তাকে জানালে তিনি বলেন, নতুন করে টাকা লাগবে না। আমি বিনা খরচে চিকিৎসা দেব। অথচ তিনি তা দেননি বলে উল্লেখ করেন লিপিয়া। এর ফলে তিনি ও তার পরিবার অসহায় জীবন যাপন করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি। তিনি বলেন ডাক্তার হাফিজুল্লাহ তাদের অবমূল্যায়ন করছেন।
লিপিয়া তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, তিনি অপচিকিৎসা করছেন এবং খারাপ ব্যবহার করছেন এই অভিযোগ করে ডাক্তার হাফিজুল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেছেন। এর প্রেক্ষিতে ২৫ জুন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কক্ষে তদন্ত অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। তিনি বলেন এ খবর পেয়ে ডা. হাফিজুল্লাহ তাকে ফোন করে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এমনকি এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করারও কথা বলেছেন তিনি।
এ বিষয় জানতে চাইলে ডা. হাফিজউল্লাহ বলেন, রোগীকে আমি চিকিৎসা দিয়েছি সাধ্যমতো। তার কাছ থেকে চুক্তিমতো টাকাও পেয়েছি। পরে যখন তিনি নতুন কর যন্ত্রণা পাচ্ছিলেন তখন মানবিক কারণে আমি বিনা খরচে চিকিৎসা দেব বলে কথা রেখেছি। এমনকি ওষুধপত্রও কিনতে হয়নি তাদের। তারপরও তারা কোন কারণে এতো ক্ষিপ্ত হয়েছেন জানিনা। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে আমার চেম্বারে বেশ কয়েকজন সন্রাসীকে নিয়ে আসেন লিপিয়ার স্বামী মোস্তাকিম। আমার সাথে তারা অসদাচরন করেন। তাদের ক্ষতি হয়েছে দাবি করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। আমি ঝামেলামুক্ত হতে বাধ্য হয়েই ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দেই। না দিলে তারা আমার ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়েছিলো। এখন আমি তাদর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করবো বলেও জানান ডা. হাফিজউল্লাহ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর