শাহজাদপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে নয় ছয়

এম এ মালেক, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ গোপালপুর বাঁধ পূনঃনির্মাণে নয় ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন-বালু ও মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণের পর নিম্নমানের পাটের বস্তা দিয়ে বালু ও যৎ সামান্য সিমেন্ট ব্যবহার করে সি সি ব্লক এর পরিবর্তে পাটের বস্তা বসানো হচ্ছে। এসব বস্তা কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফেটে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন,গোপালপুর মোড় থেকে হাঁট পাচিল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এই বাঁধ নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ থাকলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিজের পছন্দমত বাঁধ নির্মাণ করছে।

অপরদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তবে ঠিকাদারের নিয়োগকৃত ম্যানেজার বলছেন, ঠিকাদার এখানে খুব কম আসে,উনি বেশ ব্যস্ত মানুষ। ঠিকাদারের ফোন নাম্বার চাইলে তিনি বলেন,ঠিকাদার সব সময় ব্যস্ত থাকেন তাই ফোন রিসিভ করার সময়টাও তার নাই বলে জানান ম্যানেজার।

ম্যানেজার আরও জানান,স্থানীয় প্রভাবশালী চুন্নু মেম্বর সব দেখভাল করেন। পরে চুন্নু মেম্বরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,সিসি ব্লকের পরিবর্তে সেখানে পাটের বস্তা দেয়ার সিডিউল আছে বলে মন্তব্য করেন। তবে পাটের বস্তা পচে বালু বের হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে তীর সংরক্ষণ ও বণ্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাব দিতে নারাজ।

এ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন-একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী দায়িত্বে রয়েছে। আমাদের কিছু বলার নেই। তার নাম জানতে চাইলে বলা যাবেনা বলে মন্তব্য করেন তারা।

তবে জানা যায় চলতি বছরের প্রথম থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু নির্মাণ কাজে সি সি ব্লকের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহার ছাড়া ও বাঁধের পাড়ের মাটি কেটে সমান করা হচ্ছে না। উঁচু নিচু রেখেই পাড়ের উপর ব্লক বসানো হচ্ছে।

এদিকে বাঁধ নির্মাণ কাজ দেখার জন্য একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও তিনি মাঝে মধ্যে আসেন। আর এই সুযোগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ববান প্রভাবশালী চুন্নু মেম্বর ব্লক তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে অনিয়ম করে যাচ্ছে। এবং এ কাজের অনিয়ম নিয়ে কেউ মুখ খুললে তাকে দেখে নেয়া হবে বলে হুমকি দামকি দিয়ে আসছেন বলে জানা যায়।এত

অনিয়ম দূর করে সঠিকভাবে বাঁধ নির্মাণ না করা হলে সরকারের কোটি কোটি টাকার এই প্রকল্প শুধু বিফলে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর