রাফী উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধি: বর্তমানে মিঠা পানির অনেক মাছই হারিয়ে যাচ্ছে। হয়ত নিকট ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশের মতো খাঁচায় মৎস্য চাষের দিকে সম্পূর্ণরূপে ঝুকে পড়তে হতে পারে। আর এ ধরনের পরিস্থিতি দূর করার জন্য আমরা হাওর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পোনা মাছ ছাড়ার ব্যবস্থাও করেছি। আর হাওর ও চর উন্নয়নে যেকোনো প্রকল্প পাশ করা হবে যদি তা জনকল্যাণমূলক ও ভূমিহীন কৃষকের জন্য লাভজনক হয়। রবিবার (১৬ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) আয়োজিত “হাওর ও চর উন্নয়ন আপনার জানা আপনার ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এম. এ. মান্নান, এমপি। সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট।
সেমিনারে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এম. এ. মান্নান এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সিনিয়র সচিব অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রকিবুল ইসলাম খান। মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশের হাওর ও চর অ লে শস্য উৎপাদনের প্রধান প্রধান সমস্যা, সম্ভাবনা ও প্রতিকারের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, হাওর ও চর এলাকার কৃষি পরিবেশের উপর ধারবাহিক গবেষণা, প্রযুক্তি উন্নয়ন ও কৃষকের জীবন জীবিকার উন্নয়নের লক্ষ্যে গত বছর ২২ জুলাই হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওই ইনস্টিটিউট থেকে হাওর ও চর এলাকায় ফসল ধারা ও খামার ব্যবস্থার উপর এম.এস., পি.এইচ.ডি. ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা প্রদান করা হবে। এছাড়াও কৃষক, বিত্তহীন পুরুষ ও নারীদের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের জন্য লাগসই প্রযুক্তি বিস্তারসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হবে। এক কথায় হাওর ও চরের কৃষকের সাথে গবেষকদের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করবে হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউট।