মাঠ ছোট-বড় নিয়ে ভাবছি না- তামিম

আনুষ্ঠানিক নাম দ্য কুপার অ্যাসোসিয়েটস কাউন্টি গ্রাউন্ড। তবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ভেন্যু সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড নামেই বেশি পরিচিত। নাম যা-ই হোক, মাঠটি আকারে বেশ ছোট। এতই ছোট যে অনেক সময় ব্যাটসম্যানের মিস হিটও ছক্কা হয়ে যায়! ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে পাওয়ার হিটারের ছড়াছড়ি, তাই দুশ্চিন্তা হতেই পারে মাশরাফির দলের। তামিম ইকবাল অবশ্য মাঠের আকার নিয়ে চিন্তিত নন।

টন্টনে এর আগে পাঁচটি ওয়ানডে হয়েছে, যার দুটি চলতি বিশ্বকাপে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের ৩৭৩ এই ভেন্যুর সর্বোচ্চ রান। সর্বনিম্ন ১৭২, এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তান যে রান করেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আফগান ব্যাটসম্যানরা কিউই পেসারদের তোপ সামলাতে ব্যর্থ হলেও টন্টন এমনিতে ‘ব্যাটিং স্বর্গ’ হিসেবে পরিচিত।

সেই মাঠে খেলতে নামার আগে তামিম রোমাঞ্চিত। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সেরা ওপেনার বললেন, ‘মাঠ ছোট নাকি বড় সেটা নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। ফর্ম থাকলে বড় মাঠও ছোট হয়ে যায়। আমরা জানি, ওদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ব্যাটসম্যানরা যে কোনও মাঠে ছক্কা মারতে পারে। তাই মাঠ নিয়ে না ভেবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিতে হবে আমাদের।’

এই ভেন্যুতে চারটি সেঞ্চুরির তিনটিই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সৌরভ গাঙ্গুলীর ১৮৩ এখন পর্যন্ত টন্টনের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। সেই ম্যাচেই ভারতের আরেক কিংবদন্তি ডানহাতি রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৪৫ রান। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গেই ১৩০ রান করেছিলেন ইংল্যান্ডের ডেভিড গাওয়ার। সর্বশেষ ‘ম্যাজিক ফিগার’ অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারের ১০৭, এই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

বাঁহাতি সেঞ্চুরিয়ানদের মিছিলে এবার কি আপনি যোগ দিচ্ছেন? প্রশ্নটা শুনে হাসলেন তামিম, ‘আশা তো করি, যদিও এখানে আগে কখনও খেলিনি। শুনেছি এই মাঠ ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গ। তবে এখন উইকেট একটু অন্যভাবে বানাচ্ছে। তাছাড়া আবহাওয়াও ঠিক ফেভারে নেই। অবশ্য উইকেট-আবহাওয়া যেমনই হোক, আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের দলে তেমন বিগহিটার নেই। কিন্তু যারা আছে, আশা করি তারা ভালো খেলতে পারবে।’

ইংল্যান্ডে তামিমের পারফরম্যান্স খুবই ভালো। দু বছর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ১২৮, ৯৫ আর ৭০ রানের তিনটি চমৎকার ইনিংস এসেছিল তার ব্যাট থেকে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপ একদমই ভালো যাচ্ছে না। তিন ম্যাচে করেছেন ১৬, ২৪ ও ১৯ রান। ইনিংস বড় করতে না পেরে তামিম নিজের ওপরেই বিরক্ত, ‘সাধারণত ১০ ওভার টিকে গেলে আমার ইনিংস লম্বা হয়। কিন্তু এবার টিকে গিয়েও ইনিংস বড় করতে পারছি না। ৭/৮ ওভার ব্যাট করে শুরুর চ্যালেঞ্জে উৎরে যাচ্ছি, কিন্তু তারপর পারছি না। তিন ম্যাচের দুটোতেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছি। সেজন্য আমি ভীষণ হতাশ। পরশু (সোমবার) শুরুতে টিকে গেলে অবশ্যই ইনিংস বড় করার চেষ্টা করবো।’

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর