পেট্রোলচালিত বাহন মিশুক এখন বিলুপ্তের খাতায়

এক সময় ঠাকুরগাঁও জেলায় দাঁপিয়ে বেড়ানো পেট্রোলচালিত তিনচাকার মিশুক আর নেই। আজ হারিয়ে যাচ্ছে সেই ঐতিহ্যর পেট্রোলচালিত মিশুক। সেই সময়ে জেলার পুরোশহরসহ প্রত্যেক উপজেলার সড়ক মহাসড়কে এমনকি পাড়া মহল্লার অলি-গলিতে দাঁপিয়ে বেড়ানো সেই মিশুক খুচরা যাত্রী থেকে শুরু করে রিজার্ভ ভাড়াও বহন করত।

ভাড়া ছাড়াও মফস্বল এলাকার রোগী জেলা এবং উপজেলা শহরে বহনে ছিল যথেষ্ট ভুমিকা। তাই সেই সময়ে এই বাহনটি অনেক এলাকায় গরিবের অ্যাম্বুলেন্স নামেও পরিচিত ছিল।

আজ সেই মিশুক তেমন একটা চোখে পড়ছেনা। যারা সেই মিশুকের ড্রাইভার ছিলেন তারা এখন অনেকেই আলাদা আলাদা পেশা গ্রহন করেছেন। অনেকেই বর্তমানে থ্রী হুইলার (পাগলু),অটো ,সিএনজি গাড়িও চালাচ্ছেন। বর্তমানে জেলার রানীশংকৈল উপজেলায় কয়েকটি মিশুক দেখা যায়।

মিশুকের ড্রাইভার খতিবর রহমান বলেন,এই উপজেলায় যে কয়টি মিশুক দেখা যাচ্ছে সেই কয়টি মিশুক বর্তমানে যাত্রী পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছেনা ,ব্যবহার করা হচ্ছে হকারির ব্যবসায়।

আরেক ড্রাইভার চাঁনমিয়া বলেন, পেট্রোল চালিত এই মিশুকের খরচও বেশি লাভ কম হওয়ার কারণে এই গাড়ি চালাতে অনেক ড্রাইভার বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং চার্জার এর গাড়ি চালাচ্ছেন।

যারা সেই মিশুকের পুরোনো ড্রাইভার ছিলেন তাদের কয়েকজন জানান, নতুন নতুন ডিজেল চালিত থ্রী হুইলার (পাগলু),অটো ,সিএনজি গাড়ি আমদানি ইত্যাদি কারণে আমাদের জেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সেই ঐতিহ্যের মিশুক। আকারে ছোট এই তিনচাকাওয়ালা মিশুকটি যাত্রী পরিবহনে রেখেছিল যথেষ্ট ভূমিকা ,কিন্তু আজ তেমন একটা চোখে পড়ছেনা সেই মিশুকের।

যাদের বর্তমানে মিশুক আছে তাদের কয়েকজন জানায় , আমাদের এই মিশুকের প্রতি যাত্রীদের তেমন একটা আকর্ষণ নেই বললেই চলে তার কারণ, এই গাড়িটি আকারে ছোট পরিবহনের খরচও অনেক বেশি তাই আমরা এটি হকারির ব্যবসায় ব্যবহার করছি।

এই মিশুক শুধু যাত্রী বহনও করতনা জেলায় অবস্থিত গ্রামের মফস্বল এলাকা থেকে কোনো রোগী অসুস্থ হলে সেই এলাকা থেকে যেকোনো সময় রোগী নিয়ে ছুটত শহরের বড় বড় সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে।

বাংলাদেশ মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং রাজ: ৮৮ রাণীশংকৈল উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী “বার্তা বাজার” কে বলেন, আমাদের এলাকায় অর্থাৎ ঠাকুরগাঁওয়ে অনেক জ্বালানী সাশ্রয়ী যানবাহন আমদানী এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে এই মিশুকটির বিলুপ্তি ঘটেছে।

সবুজ ইসলাম/বার্তাবাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর