সাঁতরে ড্রেসিংরুমে ফিরবে ভারত পাকিস্তান অধিনায়ক !

রোববার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে একে অপরের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দল ভারত ও পাকিস্তান। উত্তেজনায় ঠাসা থাকা এই মাঠের লড়াই শুরুর হওয়ার আগেই চলছে কথার লড়াই। কে জিতবে এই মহারণ? সেটা বলে দেবে সময়ই। কিন্তু তার আগে এই ম্যাচ হবে কি না, সেটা নিয়েই রয়েছে সংশয়। কেননা ‘বৃষ্টিকাপ’ তকমা পাওয়া এই টুর্নামেণ্টের ওই ম্যাচেও হানা দিতে পারে বৃষ্টি।

বিশ্বকাপে বৃষ্টির কারণে এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। সামনেও শঙ্কা আছে আরো কয়েকটি ম্যাচে বৃষ্টির। এর মধ্যে রয়েছে ভারত-পাকিস্তানের বহুল প্রতীক্ষিত ম্যাচটিও। এমন রোমাঞ্চকর একটি লড়াই যদি বৃষ্টির কারণে ভেসে যায়, তাহলে হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না ক্রিকেট ভক্তদের।

কি হবে সেটা কালই (রোববার) দেখা যাবে। তার আগেই বৃষ্টি নিয়ে হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠেছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বৃষ্টি নিয়ে একের পর এক পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন তারা।

পাকিস্তান দলের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতারের মতে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টস শেষ করে সাঁতরে ড্রেসিং রুমে যাবেন দুই দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও সরফরাজ আহমেদ। এই বিষয়ক ব্যঙ্গাত্মক একটা ছবি নিজের টুইটারে অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে সাবেক এই পেসার লিখেছেন, ‘রোববার এমনটাই হতে যাচ্ছে।’

শুধু শোয়েব নন, এবারের আসরের বৃষ্টি নিয়ে এর আগে ব্যঙ্গাত্মক ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন। সেই ছবিতে দেখা যায়, ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করছেন, তার পেছনে ক্যাচ ধরার অপেক্ষায় উইকেটরক্ষক। আর এই খেলাটি হচ্ছে পানির নিচে মুখে অক্সিজেন মাস্ক পড়ে। যার ক্যাপশন দেয়া হয়েছে, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল ২০১৯’।

বৃষ্টির এই মৌসুমে বিশ্বকাপ আয়োজন করে সমালোচনার মুখে পরেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। সেমিফাইনাল-ফাইনাল ছাড়া আর কোন ম্যাচেই রিজার্ভ ডে নেই। তাই কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস গ্রুপ পর্বে রিজার্ভ ডে না থাকায় আইসিসিকে এক হাত নিয়েছেন। তবে রিজার্ভ ডে কেন নেই এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন।

ডেভিড বলেন, ‘আইসিসি বিশ্বকাপে যদি প্রতি ম্যাচেই রিজার্ভ ডে রাখা হতো, তাহলে টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য বেড়ে যেত আরও অনেক বেশি। এবং বাস্তবিকভাবেই টুর্নামেন্ট শেষ করতে গিয়ে খুবই জটিল আকার ধারণ করতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘রিজার্ভ ডে রাখা হলে, উইকেট তৈরিতে এর প্রভাব পড়তো, দলের রিকভারি কিংবা ট্রাভেলের দিনের ওপরও বড় প্রভাব পড়তো। একই সঙ্গে ভেন্যু প্রাপ্তি, টুর্নামেন্টের স্টাফ, ভলান্টিয়ার, ম্যাচ অফিসিয়াল বাড়াতে হতো অনেক বেশি। তাদের থাকার জন্য জায়গা সঙ্কুলান হয়ে পড়ত খুবই কঠিন। এছাড়া ম্যাচ সম্প্রচারকারীদের লজিস্টিক সাপোর্ট নিয়ে পড়তে হতো বড় সমস্যায়।’

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর