দুই সন্তান খোঁজ নেয় না, খোঁজ নিলেন রাব্বানী

দুই সন্তান স্বচ্ছল থাকলেও খোঁজ নেয় না ৭০ বছর বয়সী মোহাম্মাদ জামিলুর রহমানের। ধার দেনা করে দুই মেয়েকে বিয়ে দেন। দুই মেয়েকে বিয়ে দিতে গিয়ে দেড় লাখ টাকা ঋণ হয়ে পড়েন জামিলুর। বৃদ্ধ বয়সে কোনভাবেই ঋণ পরিশোধ করতে পারছিলেন না।

অবশেষে ঋণ পরিশোধের আশায় কিশোরগজ্ঞ জেলার নীলফামারী এলাকার নিজ বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন রাজধানীতে।রাজধানীতে ভাড়াচালিত একটি পায়ে চালানো রিক্সা নিয়ে শুরু করেন রোজগার। ঋণ পরিশোধ করার যুদ্ধ। তবে সে রোজাগারের টাকা দিয়ে নিজে থাকা খাওয়ার পর কোনভাবেই ঋণ পরিশোধ হতে পারছিলেন না। কোন এক মানুষের তাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে দেখা করে ঘটনা জানাতে বলেন।

এরপর জামিলুর রহমান ১৫ রমজানে দেখা করেন গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে। বলেন তার অসহায়ত্বের কথা। জানান, পাঁচ বছর আগে গাছের ডাল পড়ে কোমড় ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও। সব জানার পর ঘটনা সত্য হলে সমাধানের আশ্বাস দেন গোলাম রাব্বানী।

ভাড়া চালিত রিক্সার বদলে একটি রিক্সা কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপরই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে নেমে পড়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনার সত্যতা মিলে যায়।এসব কথা জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী আরও বলেন, ঘটনাটি আমাকে জানানোর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেনকে সত্যতা যাচাই করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায় ঘটনা সত্য।এরপর আমিসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিলে একটি রিক্সা ক্রয় করা হয় জামিলুর রহমান চাচার জন্য। শুক্রবার বেলা ২টার দিকে পরীবাগ এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি ডিজিটাল রিক্সা তুলে দেওয়া হয় জামিলুর রহমানের হাতে।এখন থেকে নিজের রিক্সা চালিয়ে ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করবেন তিনি।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশরত্নের ছাত্রলীগ, মানবতার ছাত্রলীগ। সব সময় মানুষদের জন্য কাজ করবে। মানুষের সেবা করবে। কিছুদূর জামিলুর রহমানকে রিক্সায় তুলে নিয়ে রিক্সা চালান ছাত্রলীগ সম্পাদক। এরপর রিক্সাটি জামিলুর রহমানের হাতে তুলে দেওয়ার সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়।

কিশোরগজ্ঞের জামিলুর রহমান ছাত্রলীগ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। বলেন, চির ঋণী থাকবো আমি। এবার আমি আমার দুই মেয়ে বিয়ে দেওয়া ঋণ হয়তো পরিশোধ করতে পারবো।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর