প্রধানমন্ত্রী, আমার বাবার চাকরি ফিরিয়ে দিন

মধ্যবিত্ত পরিবার। তার বাবা একমাত্র রোজগেরে। এতদিন পর্যন্ত সংসারের চাকা ঘুরছিল। ছন্দ কাটল বাবা চাকরি হারানোয়। তার পর থেকেই সংসারে অনটন লেগে রয়েছে। বাবার চাকরি নেই। সংসারের চাকা আর ঘুরছে না। প্রত্যেকটা দিন চরম কষ্টে কাটছে তাদের। এমন অবস্থায় ঠিক কী করণীয় সেটাই তার পরিবারের কেউ বুঝতে পারছে না। অন্য কোনও রাস্তা খুঁজে না পেয়ে ক্লাস এইটের ছেলে চিঠি লিখল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

এই নিয়ে ৩৭টি চিঠি লিখেছে সে। সার্থক ত্রিপাঠির বাবা উত্তরপ্রদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ-এ চাকরি করতেন। কিন্তু সেই চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। সার্থক জানিয়েছে, কিছু লোক ষড়যন্ত্র করে তার বাবাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করিয়েছেন। ২০১৬ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে চিঠি লিখে চলেছে সার্থক। টানা ৩৬টি চিঠি লেখার পরও আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কোনও উত্তর সে পায়নি। তবে সার্থক হাল ছাড়বে না বলে ঠিক করেছে। নতুন উদ্যম নিয়ে সে ৩৭ নম্বর চিঠিটাও লিখে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে।

সার্থক বলছিল, ”মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। আমি এই স্লোগান শুনেছিলাম। তার পর থেকে মনে হয়েছিল, উনি আমাদের সাহায্য করতে পারেন। আমি অনেক আশা নিয়ে চিঠি লিখি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি, আপনি একবার অন্তত আমার কথাগুলো শুনুন।”

প্রতিটা চিঠিতেই সার্থক নিজেদের দৈনন্দিন জীবন সংগ্রামের বিবরণ লিখেছে। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে বাবার চাকরি হারানোয় গোটা পরিবারকে কতটা দুর্দশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে, সেটাই প্রতিটা চিঠিতে লিখে বোঝাতে চেয়েছে ক্লাস এইটের সার্থক। সার্থক জানিয়েছে, তার বাবাকে কিছু লোক মানসিক চাপ দিয়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে। তার বাবার সঙ্গে এমন খারাপ কাজ যারা করেছে সে তাদের যথাযথ শাস্তির দাবিও করেছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর