গাছের সঙ্গে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

বিরলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাছের সঙ্গে বেঁধে এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত দিলীপ চন্দ্র রায় (৩০) উপজেলার শহরগ্রাম ইউপির চাপাই (নওদাপাড়া) গ্রামের প্রয়াত কান্দুরা চন্দ্র রায়ের ছেলে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার শহরগ্রাম ইউপির চাপাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী কান্দুরা রাণী, মণি বালা, বৃষ্টিসহ কয়েকজন জানান, গত ৬ মাস আগে নির্যাতিত দিলীপের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাড়ির নিতাই চন্দ্র রায়ের মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠার গুজবে উভয় পরিবারের সঙ্গে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় দিলীপ গত ৬ মাস ধরে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।

দিলীপের পরিবারের লোকজন জানান, মাস খানেক আগে দিলীপ বাড়িতে ফিরে এসে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সংসার করছিলেন। শুক্রবার সকালে দিলীপ বাড়ি থেকে বের হলে পাশের বাড়ির নিতাই চন্দ্র রায়ের ছেলে শমেষ চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে তার ভাই বাবলু চন্দ্র রায়, নির্মল চন্দ্র রায় ও তার মামা একই উপজেলার ধামইড় ইউপির দারইল গ্রামের প্রয়াত আন্ধারু চন্দ্র রায়ের ছেলে মন্টু চন্দ্র রায় মিলে দিলীপকে তুলে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বাড়ির কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পাশবিক নির্যাতন করে।

খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রঞ্জন চন্দ্র রায় ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ এলাকার বেশকিছু লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদ জানালে মেয়ের ভাই শমেষ ও তার লোকজন তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য গালাগাল করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের (মুরাদ) সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বিরল থানার ওসি এটিএম গোলাম রসুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে নির্যাতনকারী শমেষ চন্দ্র রায়, বাবুলু চন্দ্র রায়, নির্মল চন্দ্র রায় ও মন্টু চন্দ্র রায়ের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করেননি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর