জোড়া খুনের মামলায় নবীনগরের ইউপি চেয়ার‌ম্যান কারাগারে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জোড়া খুনের মামলায় চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ রানাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের জোড়া খুনের মামলায় সোমবার (৮ মার্চ) দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।

মাসুদ রানা নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাঁর বড় ভাই এম.এ. হালিম নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১ মার্চ নবীনগর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক সদস্য ইয়াসিন মিয়া ও তার ভায়রা ভাই খন্দকার এনামুল হক। এলাকায় ‘হক ডাকাত’ হিসেবে পরিচিত এনামুল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ডাকাতি মামলাও ছিলো। তাঁরা দু’জনই উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের রসুল্লাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ মোটর সাইকেল নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ও তাঁর সহযোগীরা ইয়াছিন এবং এনামুলকে খুন করেন। পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডকে “গণপিটুনীতে ডাকাত নিহত” বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়।

আদালতের পরিদর্শক (সিআই) কাজী মোঃ দিদারুল আলম বার্তা বাজার জানান, সোমবার দুপুরে সাতমোড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা জোড়া খুনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় নবীনগর থানার পুলিশ হত্যা মামলা নিতে না চাওয়ায় এনামুল হকের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্তের পর সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানাসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।

গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকলেও এতোদিন নবীনগর থানা পুলিশ মাসুদ রানাসহ অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করেনি।

মোঃ রাসেল আহমেদ/বার্তাবাজার/হৃ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর