আদালতে বিচারকের সামনে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার আদালতে বিচারকাজ চলার সময় আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যায় অভিযুক্ত হাসান মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৮ মার্চ) কুমিল্লা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহ এই রাউ দেন।
রায় ঘোষণার সময় লাকসাম উপজেলার ভোচপাড়া গ্রামের শহীদুল্লার ছেলে অভিযুক্ত হাসান (২৫) আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।
এর আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ১৫ তারিখ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছিলো।
মামলায় পাবলিক প্রসিকউটর মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, আসামিরা দুজন চাচাতো ভাই ছিলেন। ২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে খুন হন হাজী আবদুল করিম। ঘটনার দিন এই খুনের মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিল। বেলা ১১টার দিকে আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৮ নম্বর আসামি হাসান। প্রাণ ভয়ে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে যান। পিছু ধাওয়া করে হাসানও সেখানে ঢুকে ফারুককে টেবিলের ওপর ফেলে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে।
এ সময় আদালতের পুলিশ, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা হাসানকে আটক করে। গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফারুক (৩০) পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তিনি মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের ওয়াহিদুল্লাহর ছেলে।
বার্তাবাজার/এসজে